আবারও কলকাতা ভাসতে চলেছে শাস্ত্রীয় সংগীত এবং নৃত্যের জোয়ারে। আগের বছরের মতো এবারও এই সুযোগ করে দিচ্ছে 'ভারতীয় বিদ্যাভবন' এবং 'সংষ্কৃতি সাগর'। ওদের যৌথ উদ্যোগে একঝাঁক তরুণ প্রতিভাদের নিয়ে জি ডি বিড়লা সভাঘরে ৬ সেপ্টেম্বর বিকেল সাড়ে পাঁচটায় বসতে চলেছে অভিনব শাস্ত্রীয় সংগীতের আসর---- 'উড়ান'। এটা দ্বিতীয় বছর। নিঃসন্দেহে কলকাতার শ্রোতাদের জন্য এটা একটা বড়ো সুখবর। তরুণ প্রতিভাদের কাছেও খুব বড়ো একটা সুযোগ। কলকাতার মতো সমঝদারি শ্রোতাদের শহরে ওরাও পাবে নিজেদের মেলে ধরার সুবর্ণ সুযোগ।
আসলে, শাস্ত্রীয় সংগীতের আসর কলকাতায় নতুন কিছু নয়। তাবড় তাবড় শিল্পীরা কলকাতার শ্রোতাদের সমীহ করেই চলেন পন্ডিতজী, উস্তাদজীদের গান-বাজনা তো লেগেই আছে, কিন্তু শাস্ত্রীয় সংগীতে দেশের তরুণ তুর্কিরা কেমন তৈরি হচ্ছে, তা জানার খুব একটা সুযোগ তৈরি হয় না। অথচ এই তরুণ প্রতিভারাই দেশের ভবিষ্যৎ।
এবারের 'উড়ান'-এ মঞ্চ মাতাবেন দেশের বাছাইকরা তরুণ প্রতিভাবান শিল্পীরা। এঁরা ইতিমধ্যেই মাতিয়ে তুলেছেন দেশ-বিদেশের মঞ্চ। তাই, শাস্ত্রীয় সংগীতের শ্রোতারাও ভালোবাসায় ভরিয়ে দিচ্ছেন এই তরুণ শিল্পীদের। যাইহোক, ‘উড়ান’-এর আসর সমৃদ্ধ হবে তাল-ছন্দের সংমিশ্রণে। নৃত্য এবং তালবাদ্যের অভিনব মিশেল। থাকছে কত্থকের যুগলবন্দি---- ‘কৃষ্ণপ্রিয়া’। এই সময়কার দুই প্রতিভাবান শিল্পী বিশাল কৃষ্ণ এবং রাগিনী মহারাজ কত্থক পরিবেশন করবেন। থাকছে 'হিন্দুস্থানী-কর্ণাটকী যুগলবন্দি'। এই অভিনব যুগলবন্দি তৈরি হবে হিন্দুস্থানী এবং কর্ণাটকী ভায়োলিন, তবলা এবং মৃদঙ্গমের সংমিশ্রনে। হিন্দুস্থান ভায়োলিন বাজাবেন ইয়াদনেশ রায়কর, কর্ণাটকী ভায়োলিনে সুমন্ত মঞ্জুনাথ, তবলায় আর্চিক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মৃদঙ্গমে নন্দন। তরুণ তুর্কিদের এমন অভিনব যুগলবন্দির সাক্ষী থাকতে চলেছে কলকাতা। চমক এখানেই শেষ নয়। থাকছে অন্যধারার 'তালবাদ্য যুগলবন্দি'। ডিজেম্বে, ড্রামস এবং হারমোনিয়ামের মিশেলে তৈরি হবে এই অভূতপূর্ব যুগলবন্দি। বাজাবেন একঝাঁক তরুণ প্রতিভা। এঁরা সবাই এক একজন ছাইচাপা আগুন। ডিজেম্বে বাজাবেন শিখর নাদ কুরেশি, ড্রামসে থাকবেন শ্রাবণ সামসি এবং হারমোনিয়ামে জ্যোতির্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতার শ্রোতারা মুগ্ধ হয়ে শুনবেন তারুণ্যের রাগরাগিনী।