আজকাল বলিউডে মতাদর্শগত বিবাদ তুঙ্গে। অনুরাগ কাশ্যপ এবং ওয়াশিংটন পোস্ট অফ আমেরিকায় প্রকাশিত নিবন্ধটি যদি বিশ্বাস করা হয়, তবে বুঝতে হবে আজকাল কেন্দ্রীয় সরকার 'নেটফ্লিক্স' এবং 'অ্যামাজন প্রাইম'-এর মতো ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলিতে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ চাপ প্রয়োগ করে তাদের কাজে হস্তক্ষেপ করছে। সরকারের আদর্শ অনুযায়ী ওয়েব সিরিজ বা চলচ্চিত্রগুলি স্ট্রিম করছে। তারা পরিচালকদের উপর জোর প্রয়োগ করছে। ওয়াশিংটন পোস্টের মতে, ওটিটি প্ল্যাটফর্ম এখন কিছু অ্যাডভোকেট নিয়োগ করেছে, যারা চলচ্চিত্র নির্মাতাদের দেওয়া স্ক্রিপ্টটি পড়ে এবং প্রয়োজনীয় সংশোধন করার পরামর্শ দেয়, যাতে ভারত সরকার সেটা নিয়ে বিচলিত না হয়। ওয়াশিংটন পোস্ট সরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর জন্য কোনও প্রচেষ্টা ছাড়েনি। বলিউডে এখন এটাই চর্চার বিষয় যে, এই নিবন্ধটি লিখেছেন অনুরাগ কাশ্যপ।
প্রসঙ্গত, Anurag Kasyap ওটিটি প্ল্যাটফর্ম 'নেটফ্লিক্স'-এর জন্য সুকেতু মেহতার 'ম্যাক্সিমাম সিটি'-র রূপান্তরের কাজ করছিলেন, যার জন্য তিনি ২০২০ সালে নেটফ্লিক্সের কাছ থেকে অনুমতি পেয়েছিলেন। অনুরাগ কাশ্যপ এটি নিয়ে কাজ করেছিলেন এবং প্রচুর অর্থ বিনিয়োগ করে এটি তৈরি করেছিলেন। কিন্তু হঠাৎ করেই ২০২১ সালে দেশের রাজনৈতিক পরিবেশের চাপে নেটফ্লিক্স হাত তুলে নেয় এই ওয়েব সিরিজ-টি স্ট্রিম করা থেকে।
অনুরাগ কাশ্যপ একটি সাক্ষাৎকারে দাবি করেছিলেন যে নেটফ্লিক্সের এই পদক্ষেপ তাঁর উপর খুব খারাপ প্রভাব ফেলেছিল। এই কারণে, তিনি অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন, অতিরিক্ত মদ্যপান শুরু করেছিলেন এবং সেই সময়ে তাঁর দুটি হার্ট অ্যাটাকও হয়েছিল। 'ওয়াশিংটন পোস্ট'-এ অনুরাগ কাশ্যপের এই সাক্ষাৎকারের পরেই এই ঘটনা ঘটেছিল। অনুরাগ আরও বলেছিলেন যে, নেটফ্লিক্সের 'ম্যাক্সিমাম সিটি' থেকে বেরিয়ে যাওয়ার বৈধ যুক্তির অভাব রয়েছে। তাঁর মনে হয়েছিল যে, হয় তাঁর তৈরি সিরিজটির বিষয়বস্তু অত্যন্ত সংবেদনশীল ছিল অথবা তিনি ওটিটি প্ল্যাটফর্ম নিয়ে বেশি সংবেদনশীল মানুষ হয়ে পড়েছেন।
২০২১ সালের পরে Anurag Kasyap, রাহুল ভাট এবং সানি লিওনের সাথে থ্রিলার ছবি 'কেনেডি' পরিচালনা করেছিলেন, যা জি ৫-এ স্ট্রিমিং হচ্ছে। সোর্স মারফৎ জানা যাচ্ছে এখন তিনি বলিউডকে চিরতরে বিদায় জানানোর কথাও নাকি বলছেন। এমনটাই চাউর, তিনি শীঘ্রই শিক্ষক হিসাবে কাজ করবেন কারণ, কেরালার একটি কলেজে শিক্ষকতার নাকি চাকরি পেয়েছেন অনুরাগ।