বড়ো পর্দার পাশাপাশি ওটিটি প্ল্যাটফর্মেও আত্ম্প্রকাশ ঘটল বলিউডের তাবড় অভিনেতা অজয় দেবগণের। ‘রুদ্র - দ্য এজ অফ ডার্কনেস’ ছবিটির মাধ্যমে ওটিটি প্ল্যাটফর্মেও ডেবিউ করলেন অজয় দেবগণ, সেই সঙ্গে অভিনেত্রী রাশি খন্নারও এই প্রথম আত্ম্প্রকাশ ঘটল ওটিটি প্ল্যাটফর্মে।
ওটিটি প্ল্যাটফর্ম, ডিজনি প্লাস হটস্টারে মুক্তি পেয়েছে ছবিটি। ইদরিস এলবার সাইকোলজিকাল ব্রিটিশ ওয়েব সিরিজ ‘লুথার’-এর হিন্দি রিমেক হল রুদ্র। এই রিমেক-টি ভারতীয় মোড়কে তৈরি করার দায়িত্ব নিয়েছিলেন ঈশান ত্রিবেদী, হুসেন দালাল এবং আব্বাস। পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন রাজেশ মাপুসকার। অজয় দেবগণ ও রাশি খন্না ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিভিয়েছেন এষা দেওল তখতানি, অশ্বিনী কলসেকর, অতুল কুলকার্নী, আশিষ বিদ্যার্থী ও মিলিন্দ গুনাজি।
প্রথম এপিসোডের কাহিনি শুরু হয় মুম্বইয়ের ক্রাইম স্পেশাল স্কোয়াডের ডিসিপি রুদ্রবীর সিংহ ওরফে রুদ্র (অজয় দেবগণ)-কে দিয়ে, যাকে দেখা যায় এক অপরাধীকে ফলো করতে। কাহিনি যত অগ্রসর হয় ততই দেখা যায় সিস্টেমের অন্যতম দক্ষ অফিসার হওয়া সত্ত্বেও সিস্টেমের কড়া নজরে থাকতে হয় রুদ্রবীরকে। রুদ্রর কাজের জগতের সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত জীবনের টানাপোড়েনও এই গল্পে স্থান পেয়েছে। শায়লার (এষা দেওল) সঙ্গে অশান্তি, কর্মক্ষেত্রে সকলের সঙ্গে তাঁর সমীকরণ, ডিউটি পালনের অদম্য প্যাশন এসব কিছুই রুদ্রর চরিত্রের বৈশিষ্ট্য।
তবে পরিচালক রাজেশ মাপুসকার-এর একটা ভুল চোখে পড়ে, তিনি মুম্বই-এর পটভূমিকায় ছবিটি তৈরি করলেও ছবিটি দেখতে দেখতে ভ্রম হয় যে মুম্বই নয় বরং আমেরিকার নিউইয়র্ক শহরে পুরো ঘটনাটি দেখছেন বলে। এছাড়াও প্রতিটি এপিসোডে গল্পের গতি খুব স্লো। কারণ ছাড়াই গল্পকে যেন টেনে-হিঁচড়ে বাড়ানো হয়েছে। সময়ের দিক থেকে এপিসোডগুলিকে আরও একটু ক্রিস্প করার প্রয়োজন ছিল।
ওয়েব সিরিজটিতে অজয় দেবগণের অভিনয় প্রশংসার যোগ্য, যদিও নতুন কিছু দেওয়ার সুযোগ তাঁর তেমন ছিল না। দর্শকমহলে রাশি খান্নার অভিনয়ও যথেষ্ট প্রশংসিত হয়েছে। ভবিষ্যতে তাঁর ভালো অভিনয় দেখার আশা রাখেন দর্শকরা। শায়লার চরিত্রে এষার অভিনয়ে দর্শকরা রীতিমতো নিরাশ। অন্যান্যদের অভিনয় মোটামুটি।