নানারকম কারণে এখন এমন এক অস্থির অবস্থা কিংবা আবহের মধ্যে আছেন অনেকে, যার জেরে তাদের মানসিক সুস্থতা প্রায় কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এসেছে। তাই, এইসব মানুষ ক্রমশ মানসিক চাপ মোকাবেলার বিকল্প উপায়ের দিকে ঝুঁকছেন। আর এই বিকল্প উপায়ের মধ্যে অন্যতম হল—মিউজিক থেরাপি।
দেখা যাচ্ছে, ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে এই মিউজিক থেরাপির জনপ্রিয়তা। আর একথা মাথায় রেখেই মানুষের সেবায় ভারত জুড়ে এক আধ্যাত্মিক সংগীত সফরে রয়েছেন ‘একম সত্ত ফাউন্ডেশন’-এর প্রতিষ্ঠাতা এবং বিশ্বখ্যাত সংগীতশিল্পী অমেয়া দাবলি। তাঁর ‘কৃষ্ণ সংগীত-- ব্লিস অ্যান্ড বিয়ন্ড’ একাধিক শহরে জনপ্রিয়তা পেয়েছে ইতিমধ্যেই। আর এবার তিনি কলকাতা-র সায়েন্স সিটিতে সংগীতের মাধ্যমে মঞ্চ মাতিয়ে তুলতে আসছেন আগস্ট-এর ২ তারিখে। বিকেল ৪টে ৩০ মিনিটে এবং সন্ধে ৭টা ৩০ মিনিটে দুটি মিউজিক শো-তে শ্রোতাদের আনন্দ দেবেন অমেয়া দাবলি।
‘মিউজিক থেরাপি’ শব্দটি সোশ্যাল মিডিয়ায় জনপ্রিয় হওয়ার অনেক আগে থেকেই, অমেয়া দাবলি তাঁর কনসার্টের জন্য দেশের সবচেয়ে কঠিনতম অঞ্চলগুলিতে যে উদ্দেশ্য নিয়ে ভ্রমণ করছিলেন, তা হল—সংগীতের মাধ্যমে ভারতের সশস্ত্র বাহিনীর জওয়ানদের মানসিক স্বস্তি প্রদান। বছরের পর বছর ধরে, অমেয়া এবং তাঁর ২৫ জন সহ-সংগীতশিল্পীর লাইভ ব্যান্ড এক সেনানিবাস থেকে অন্য সেনানিবাসে সফর করেছে। দেশের সীমান্তে, এমনকি কার্গিল বিজয় দিবসের মতো গুরুত্বপূর্ণ সামরিক অনুষ্ঠানেও সংগীত পরিবেশন করেছেন অমেয়া এবং তাঁর সহ-শিল্পীরা। এরফলে, যুদ্ধ-ক্লান্ত সেনা-জওয়ানরা উজ্জীবিত হয়েছেন দ্রুত। অর্থাৎ, অমেয়া-র সংগীত ব্যথানাশক মলমের মতো কাজ করেছে সেনা-জওয়ানদের ক্ষতে। আর অমেয়া দাবলি-র এই মহৎ অবদানের জন্য, প্রতিরক্ষা প্রধান জেনারেল অনিল চৌহান ব্যক্তিগত ভাবে প্রশংসা করেছেন বলে জানানো হয়েছে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে।
সংগীতের এই থেরাপিউটিক শক্তি সম্পর্কে অমেয়া জানিয়েছেন, ‘ভারতীয় সংগীতের থেরাপিউটিক মূল্য অপরিসীম। সঠিক ফর্ম্যাট-এ ব্যবহার করলে, সংগীত ম্যাজিক-এর মতো কাজ করে, মানসিক শান্তি দেয়। আত্মাকে এমন ভাবে স্পর্শ করে, যা অন্য কোনও কিছু পারে না। আসলে সংগীত আমাদের আবেগগত নোঙর। আমার ‘কৃষ্ণ-সংগীত’ শুধু একটি সাধারণ সংগীতানুষ্ঠান নয়, তার চেয়েও বেশি কিছু। এই সংগীতানুষ্ঠান তাজা বাতাসের মতো কাজ করছে শ্রোতাদের হৃদয়ে। এটি আমার বিনীত প্রচেষ্টা, যাতে শ্রোতারা এমন মিউজিক থেরাপির একটি ডোজ পাবেন, যা তাদেরকে মানসিক ভাবে স্বস্তি দেবে।’