পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ গাজরে রয়েছে, ভিটামিন এ, ভিটামিন কে. ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টস, বিটা কেরোটিন প্রভৃতি পুষ্টিগুণ৷ গাজরের উজ্জ্বল রঙকে এর পুষ্টিগুণের অন্যতম কারণ বলে মনে করা হয় ৷ আজকাল বিজ্ঞানীরা হলুদ, লাল এবং গাঢ় কমলা রঙেরও গাজর তৈরি করছেন। চোখ, ত্বক, চুল এবং শরীরের অন্যান্য অংশের জন্যও গাজরের উপকারিতা প্রচুর। প্রমাণিত, গাজরে প্রচুর পরিমানে ফাইটোকেমিক্যালস থাকে, যা অ্যান্টি-ক্যান্সারের উপাদান বহন করে ৷ এই উপাদানগুলি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ও কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রোটিনকে সক্রিয় করে, যা ক্যান্সারের কোশকে রোধ করতে পারে। এছাড়া গাজরের রস লিউকোমিয়া সারাতেও উপযোগী ৷
আজ আমরা সেই উপকারিতার কথা মাথায় রেখেই, এখানে দিলাম গাজর দিয়ে তৈরি চমৎকার একটি মিষ্টির রেসিপি ৷
উপকরণ - ২০০ গ্রাম গাজর গ্রেট করা, ১/২ লিটার ফুলক্রিম দুধ, ২ বড়ো চামচ টক দই, ২ ছোটো চামচ কর্নফ্লাওয়ার, ১ কাপ গুঁড়োদুধ, ১/২ চামচ ছোটো এলাচগুঁড়ো, ১ বড়ো চামচ চিনি, ১ বড়ো চামচ ঘি, ১ বড়ো চামচ বাদাম ও পেস্তা কাটা।
প্রণালী - গাজর গ্রেট করে হাত দিয়ে চেপে নিন। ১ ছোটো চামচ ঘি দিন ননস্টিক প্যানে। এতে গাজর ভেজে নিন। এবার দুধ আলাদা পাত্রে ফুটিয়ে ঘন করে নিন। কর্নফ্লাওয়ার ১ বড়ো চামচ জলের সঙ্গে গুলে নিন। এবার দুধে এক চামচ দই দিন। দুধ ঘন হয়ে এলে এতে কর্নফ্লাওয়ার গোলা দিয়ে দিন। গাজর দিন ও চিনি দিয়ে ফুটতে দিন। ৫ মিনিট পর বাকি দইটা এই মিশ্রণে দিন। এবার মিল্ক পাউডার মিশিয়ে শুকোতে থাকুন। নামানোর আগে ঘি দিয়ে নাড়াচাড়া করে নিন। একটা প্লেটে ঘি মাখিয়ে শুকনো হয়ে আসা গাজরের হালুয়াটা চারিয়ে দিন। এলাচগুঁড়ো ও বাদাম-পেস্তাকুচি ছড়িয়ে দিন। ঠান্ডা হলে চৗকো টুকরোয় কেটে নিন।