মিষ্টি খেলে মুখের স্বাদ ফেরে। তাই মাঝেমধ্যে মিষ্টি খেয়ে দেখবেন, মন ভালো হয়ে যাবে। তবে দোকান থেকে মিষ্টি না কিনে, নিজের হাতে মিষ্টি বানিয়ে খাওয়া কিংবা কাউকে খাওয়ানোর মজা-ই আলাদা। কিছু সুস্বাদু মিষ্টি বানানোর পদ্ধতি দেওয়া হল এখানে।
মাখানা লাড্ডু
উপকরণ: ১০০ গ্রাম মাখানা, ৫০ গ্রাম খোয়াক্ষীর, ৩০ গ্রাম ক্যাস্টর সুগার, অল্প কাজু-কিশমিশ, ১/২ চামচ এলাচগুঁড়ো, প্রয়োজনমতো ঘি।
প্রণালী: প্যানে ঘি গরম করে মাখানা কড়কড়ে না হওয়া অবধি ভাজতে থাকুন। তারপর মিক্সিতে দিয়ে গুঁড়ো করে নিন। এবার প্যানে খোয়াক্ষীর দিয়ে নাড়াচাড়া করুন। চিনি ও ড্রাইফ্রুট্স দিয়ে পাক দিতে
থাকুন। খেয়াল রাখবেন খোয়াক্ষীরের যেন রং না বদলায়। মিশ্রণ শুকনো হলে এর মধ্যে মাখানাগুঁড়ো দিয়ে নাড়াচাড়া করে নামিয়ে নিন। হাতে ঘি বুলিয়ে এই মিশ্রণ থেকে লাড্ডু তৈরি করুন।
গাজরের কালাকাঁদ
উপকরণ: ৮০ গ্রাম গাজর গ্রেট করা, ২০০ গ্রাম পনির মশলা, ৬০ গ্রাম মিল্ক পাউডার, ৬০ গ্রাম কনডেন্সড্ মিল্ক, ২ চামচ ঘি, ১/২ ছোটো চামচ এলাচগুঁড়ো, ১৫ গ্রাম চিনি, অল্প বাদাম পেস্তা সাজানোর জন্য।
প্রণালী: একটা পাত্রে গাজর, পনির, মিল্ক পাউডার ও কনডেন্সড মিল্ক ভালো ভাবে মিশিয়ে নিন। এবার আঁচে বসিয়ে ফুটতে দিন। অল্প ঘি ও এলাচগুঁড়ো ছড়িয়ে দিন।
ফ্রুটি গাজর হালুয়া
উপকরণ: ২ বড়ো চামচ কিশমিশ, ১/২ কাপ অরেঞ্জ জুস, ১/৪ কাপ ঘি, ৮-১০টা গাজর গ্রেট করা, ১ লিটার দুধ, ১ কাপ খোয়াক্ষীর, ১ ছোটো চামচ এলাচগুঁড়ো, ১/২ কাপ চিনি, কমলালেবুর ছোটো ছোটো টুকরো, বাদাম ও পেস্তা, সাজানোর জন্য কাজু।
প্রণালী: অরেঞ্জ জুস-এর মধ্যে কিশমিশগুলো ভিজিয়ে রাখুন। একটা গভীর তল-যুক্ত কড়ায় ঘি গরম করুন। গ্রেট করা গাজর এতে নাড়তে থাকুন। গাজরের জল শুকিয়ে নরম না হওয়া অবধি নাড়তে হবে। এবার অন্য একটি পাত্রে দুধ ফুটতে দিন। দুধ একটু ঘন হলে এতে খোয়াক্ষীর দিয়ে নাড়তে থাকুন যতক্ষণ না ভালো ভাবে মিশে যায়। এবার কমলালেবুর রসে ভেজানো কিশমিশ এতে ঢেলে দিন। সঙ্গে দিন গাজর। চিনি দিয়ে রান্না হতে দিন। একটু চটচটে ভাব এলে আঁচ থেকে নামিয়ে নিন। লেবুর টুকরো, বাদাম, পেস্তা ভালো ভাবে মিশিয়ে নিন। কাজু দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।