আধুনিক লাইফস্টাইল-এ আমরা বেশিরভাগ মানুষই আরামপ্রিয় হয়ে উঠেছি। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত অফিসে দীর্ঘ সময় রিভলভিং চেয়ারে বসে টেবিলে ঝুঁকে কাজ করার অভ্যাস কিংবা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে স্পঞ্জের তৈরি বিছানায় ঘুমোনোর অভ্যাস আমরা রপ্ত করে ফেলেছি। আর অফিসের কাজ এবং বাড়িতে ঘুমোনোর সময় বাদ দিলে, বাকি সময় চার চাকার যানে নরম আসনে বসে যাতায়াতও অনেকের অভ্যাসে দাঁড়িয়েছে। তাছাড়া, ছোটোবেলা থেকে সঠিক পদ্ধতিতে না-বসা অথবা ভুল বিভঙ্গে দাঁড়ানো কিংবা ত্রুটিপূর্ণ অঙ্গ সঞ্চালনের বদভ্যাসও রয়েছে অনেকের। আর ঠিক এই কারণে, শতকরা প্রায় আশি শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ এখন পিঠের ব্যথায় ভোগেন।
খুব সহজ ভাবে দেখলে, পিঠের ব্যথা একটি সাধারণ শারীরিক সমস্যা। যে-কোনও বয়সের নারী-পুরুষের এই সমস্যা হতে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অবশ্য কোনও চিকিৎসা ছাড়াই দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে পিঠের ব্যথার সমস্যা সেরে যায়। কিন্তু যদি এই পিঠের ব্যথা দীর্ঘদিন না সারে, তাহলে ধরে নিতে হবে, ব্যথার সাধারণ সমস্যা আর সাধারণ নেই, তা অসুখে পরিণত হয়েছে।
পিঠে ব্যথা হলে অনেকে ‘গ্যাসের ব্যথা’ বলে গুরুত্ব দেন না, কিন্তু এটা ঠিক নয়। মাঝেমধ্যে পা অসাড় হয়ে যাওয়া কিংবা ঝুঁকে কাজ করলে ব্যথার অনুভূতি হলে অবহেলা না করে, চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর রোগমুক্তির উপায় বের করা উচিত।
পিঠে ব্যথা বা ব্যাক স্ট্রেস-এর কারণ
- হঠাৎ কোনও আঘাত পাওয়া
- দীর্ঘদিন ভারী জিনিস তোলা কিংবা নামানো
- ত্রুটিপূর্ণ অঙ্গসঞ্চালন
- হাই হিল জুতো পরা
- স্থূলতা
- গুরুতর মানসিক আঘাত পাওয়া
- ভুল পদ্ধতিতে বসা
- সঠিক ব্যাকরেস্ট-যুক্ত চেয়ার ব্যবহার না-করা
- দীর্ঘ সময় শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে থাকা
- স্পঞ্জের গদিতে ঘুমোনো
পিঠের ব্যথায় যা করা অনুচিত
- ঝুঁকে বসা
- অল্প জায়গায় পা ভাঁজ করে শোয়া
- ইজি চেয়ারে বসা
- টেনশন করা
- কোমর থেকে ঝুঁকে হাত দিয়ে পায়ের পাতা ধরা (পদহস্তাসন)
- শোয়া অবস্থায় কোমর থেকে পা উপরের দিকে তোলা
পিঠের ব্যথায় ফ্রি-হ্যান্ড এক্সারসাইজ-এর উপকারিতা
- ব্যথা উপশম করে
- দুর্বল পেশিগুলিতে শক্তি জোগায়
- শিরা-উপশিরাগুলিকে আরও অ্যাকটিভ করে
- মেরুদণ্ড সবল হয়
- অঙ্গ সঞ্চালন স্মুদ ও সঠিক হয়
- রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া আরও কার্যকরি হয়ে পিঠের ব্যথা কমায়
সমস্যা সমাধানের উপায়