ল্যাপারোস্কোপিক কোলোরেক্টাল সার্জারি বা কীহোল কোলোনিক সার্জারি একটি বিশেষ কৌশল, যা অন্ত্রের ক্যান্সার কিংবা অন্ত্রের অন্যান্য সমস্যার জন্য ন্যূনতম অস্ত্রোপচারেই সমস্যার সমাধান করা যায়। এটি প্রথাগত ওপেন সার্জারির তুলনায় দ্রুত স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনে রোগীকে। শুধু তাই নয়, রোগীর কম ব্যথা এবং কম ক্ষত হয়।
৭০ বছর বয়সি একজন মহিলার অতিরিক্ত গ্যাস্ট্রো-ইনটেস্টাইনাল রক্তপাতের সমস্যা হচ্ছিল। বিশেষ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর, মুকুন্দপুরের এএমআরআই হাসপাতালের গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল অনকোসার্জারি-র সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. সঞ্জয় মন্ডল সফল অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ওই সত্তর বছর বয়সি মহিলাকে সুস্থ করে তোলেন।
ডা. মন্ডল পুঙ্খানুপুঙ্খ পরীক্ষা এবং প্রাথমিক অপ্টিমাইজেশনের পর সনাক্ত করেছিলেন যে, ডাইভার্টিকুলাইটিস থেকে রক্তপাতের সঙ্গে রোগীর ব্যাপক কোলনিক ডাইভার্টিকুলার রোগ রয়েছে।
ডাইভার্টিকুলোসিস হল এমন একটি অবস্থা যা ছোটো থলি তৈরি হয় এবং কোলনের প্রাচীরের দুর্বল জায়গায় বাইরের দিকে ধাক্কা দেয়। তখন ডাইভার্টিকুলোসিস রক্তপাত, প্রদাহ বা জটিলতার লক্ষণ সৃষ্টি করে। রোগীর ডাইভারটিকুলার রোগ মলদ্বার থেকে ট্রান্সভার্স কোলন পর্যন্ত প্রসারিত হয়। ডা. মন্ডল একটি বড়ো ল্যাপারোস্কোপিক বা কীহোল সার্জারির মাধ্যমে রোগীর কোলনের প্রায় অর্ধেক দৈর্ঘ্য অপসারণ করে, বিশেষ কৌশলে অবশিষ্ট কোলনটি মলদ্বারের সঙ্গে যুক্ত করেছিলেন। যাইহোক, ডা. মন্ডল অ্যাডভান্সড ল্যাপারোস্কোপির একজন বিশেষজ্ঞ, তাই মাত্র তিন ঘন্টার মধ্যে কীহোল কোলোনিক সার্জারি করে সফল হয়েছেন। জটিলতা সত্ত্বেও, অস্ত্রোপচারের সময় কোনও রক্তক্ষরণ হয়নি বলেও জানিয়েছেন ডা. সঞ্জয় মন্ডল। সার্জারি-র তিন দিন পর রোগীকে ছেড়েও দিয়েছেন বলে জানানো হয়েছে। তবে একা নন, বিশেষজ্ঞ আরও কয়েকজন চিকিৎসক এই সার্জারিতে সাহায্য করেছেন বলে তাদেরও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন ডা. সঞ্জয় মন্ডল। সেইসঙ্গে ল্যাপারোস্কোপিক কোলোরেক্টাল সার্জারি সম্পর্কে বিশদ তথ্যও দিয়েছেন তিনি।
ল্যাপারোস্কোপিক কোলোরেক্টাল সার্জারি কি?
ল্যাপারোস্কোপিক ('কিহোল') কোলোরেক্টাল সার্জারি বা কীহোল কোলোনিক সার্জারি হল—ন্যূনতম অস্ত্রোপচারের একটি ফর্ম। যা কোলন এবং রেকটাল অঞ্চল থেকে রোগাক্রান্ত অংশগুলি দেখে কেটে বের করে আনে। এরজন্য সরু টিউব সহ কিছু যন্ত্র ব্যবহার করা হয়। সার্জন একটি ভিডিওস্কোপ ব্যবহার করে সমস্যার ক্ষেত্রগুলি দেখতে সক্ষম হন। কোলোরেক্টাল অবস্থা যা ল্যাপারোস্কোপিক ভাবে চিকিৎসা করা যেতে পারে, তার মধ্যে রয়েছে: · ডাইভার্টিকুলার রোগ