মানব দেহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলির মধ্যে অন্যতম হল কিডনি। সময় থাকতে কিডনির সমস্যা প্রতিহত করা না গেলে প্রাণ সংশয় হওয়াও অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু সমস্যা হল, অনেক ক্ষেত্রেই কিডনির অসুস্থতার উপসর্গগুলি এতটাই মৃদু হয় যে, অবস্থা জটিল না হওয়া পর্যন্ত সাধারণত লক্ষণগুলো প্রায় প্রকাশই পায় না। Kidney প্রায় বিকল হতে বসে। এ অবস্থায় দেখা যায় বমি ভাব, খাওয়ায় অরুচি, চোখ মুখ ঘুম থেকে উঠলে ফুলে থাকা ইত্যাদি লক্ষণগুলি প্রকট হতে শুরু করে। আসুন জেনে নিই কী কী লক্ষণ থাকলে সঙ্গে সঙ্গে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।
প্রস্রাবে পরিবর্তন এবং প্রস্রাবের সময় ব্যাথা অনুভব করা এই সমস্যার অন্যতম লক্ষণ। প্রস্রাবের মাত্রা বাড়ে অথবা কমে। যদি আপনাকে বারবার মূত্রত্যাগ করতে হয় তবে তা কিডনির অসুস্থতার লক্ষণ হতে পারে। বিশেষত রাতে স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি বার মূত্র ত্যাগ করতে হলে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। অনেক সময় বেগ এলেও প্রস্রাব হয় না বা প্রস্রাবের রং বদলে যায়।
মূত্রের সঙ্গে রক্ত বার হওয়া বা মূত্রে অতিরিক্ত ফেনা হওয়াও কিডনির সমস্যার লক্ষণ। এমন হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। মূত্রে অ্যালবুমিন বেশি থাকলে অতিরিক্ত ফেনা তৈরি হয়। প্রস্রাবের মুহূর্তে ব্যথা, জ্বালা করা ইত্যদি ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশনের লক্ষণ। এটি কিডনিতে ছড়িয়ে পড়লে জ্বর এবং পিঠের পাশে নীচের দিকে এবং পিঠের পিছনে ব্যথা করে।
কাজ করার উদ্যম হারিয়ে ফেলা কিডনির সমস্যার অন্যতম প্রধান একটি লক্ষণ। সবসময় ক্লান্তি অনুভূত হতে থাকে। কিডনির মূল কাজ হল রক্তকে পরিশুদ্ধ করা। কাজেই কিডনি সঠিক ভাবে কাজ না করলে রক্তে বিষাক্ত ও অপ্রয়োজনীয় উপাদান বৃদ্ধি পেতে থাকে। এমনকী, দেখা দিতে পারে রক্তাল্পতার সমস্যাও। রক্তাল্পতার অন্যতম প্রধান লক্ষণই হল স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি ক্লান্তি।
Kidney শরীর থেকে বর্জ্য এবং বাড়তি জল বার করে দিতে সাহায্য করে। এছাড়াও কিডনির সমস্যায় সোডিয়ামের ভারসাম্য নষ্ট হয়। শরীর থেকে বাড়তি জলও বাইরে বেরোতে পারে না। এর ফলে শরীরে ফোলা ভাব তৈরি হয়। পা ফুলে ওঠার সমস্যা এই ক্ষেত্রে খুব কমন একটি সমস্যা। অনেক সময় খনিজ লবণের ভারসাম্যের ফলে শরীরের পেশিতে টান লাগার মতো সমস্যাও দেখা দেয়। মূলত ক্যালশিয়াম ও ফসফরাসের সমস্যায় এমন ঘটনা ঘটে।