Deepawali আলোর উৎসব, তাই স্বাভাবিক ভাবেই আগে মোমবাতির কথা মনে পড়ে। অনেকেই প্রদীপের বদলে বাড়ির উঠোন বা বারান্দা সাজিয়ে তোলেন মোমবাতির আলো দিয়ে। আর যাঁরা আরও একটু সৌখিন, তাঁরা ঘরের মধ্যে রাখেন সুগন্ধী মোম। এটা শুধু অন্দরমহলকে সুরভিতই করে না, অন্তরমহলেও প্রশান্তির সঞ্চার করে।
আজকাল বাজারে পাওয়া যায় নানা প্রকারের মোমবাতি. এগুলি বেশ স্বাস্থ্যসম্মত ভাবেই তৈরি হয়। এই ধরনের সিসামুক্ত মোমবাতিগুলো পরিবেশবান্ধব। বিভিন্ন আকার ও আকৃতির Diwali Candlesপাওয়া যায় কাচের জারে।
দীপাবলির রোশনাইয়ে বাড়ি রং করবার চেয়ে তার অ্যাক্সেসরিজের উপর গুরুত্ব দেওয়াই ভালো। সকলের পক্ষে তো আর ঘর রং করা সম্ভব হয় না। তাই ঘরের রং বুঝে প্রদীপ, Candles, ড্রাই ফ্লাওয়ার, টাটকা ফুল দিয়ে ঘরের ভাষাকে উৎসবমুখর করে তুলুন। টবে গাছ থাকলে তার উপর আলোর মালা বসিয়ে দিন। সেন্টার টেবলে লাল, গোলাপি, হলদে রঙের ফুল মিশিয়ে রাখুন। দেয়ালে থাক ঝুলন্ত কিছু লণ্ঠন আকারের আলো। এখন বাজারে পাওয়া যাচ্ছে টেরাকোটার লন্ঠন, ভিতরে প্রদীপ বসিয়ে, ঝুলিয়ে দিন।
সাবেক মাটির প্রদীপে নিশ্চয়ই বোর হয়ে গেছেন? বড্ড ম্যাড়মেড়ে, আর উৎসবের রাত পেরোলে তা যেন বাড়ির আবর্জনা ছাড়া আর কিছুই না। চিন্তা নেই, ইদানীং প্রদীপের গায়েও লেগেছে টেরাকোটার নকশা। তাতেই অন্য মাত্রা পেয়ে গিয়েছে মাটির Diya। গড়িয়াহাট, হাতিবাগান, নিউমার্কেটে উপচে পড়েছে এই প্রদীপে। এ ছাড়াও, যে কোনও বাজারেই পাঁচ-দশ-বারো, এ রকম নানা সেটে দেখা মিলবে এক গুচ্ছ দিয়ার!
এখন তো Gel Candles -এর যুগ! মাটির দিয়াতেই স্বচ্ছ জেলের আকারে থাকবে মোম; তাতেই রঙিন গ্লিটারের ছোঁওয়া— যা আনন্দের রংকে ঘন করে তুলবে। কোনও কোনও দিয়ায় পেয়ে যাবেন পুঁতির হরেক নকশাও। দাম মোটামুটি ৪০ টাকা থেকে শুরু।
পটের মধ্যেও পাওয়া নান্দনিক আকারের মোমবাতি। টি-লাইট নকশায় মোমের আলো ফুটে উঠলে তৈরি হবে এক মায়াময় পরিবেশ। সাধারণ পিলার মোমবাতি ছাড়াও নানা আকারের মোমবাতিও পাওয়া যায় আজকাল। গ্লাস জারে এগুলো তৈরি করা হয়। এতে যোগ হয় প্রাকৃতিক সুগন্ধী।