রংগোলি বানানোটাও দীপাবলি উৎসবের একটা প্রধান বিশেষত্ব। বিভিন্ন রং অথবা বিভিন্ন রঙের ফুল ব্যবহার করে ডিজাইন সৃষ্টির প্রথা বহুযুগের।দীপানলির অমানিশায় এই আলপনার উপর পা রেখেই নাকি দেবী পা দেন গৃহস্থের অন্দরে। অধিষ্ঠান করেন সমবৎসর৷

দীপাবলিতে ঘর সাজাতে আলপনা এখন নতুন ট্রেন্ড। তবে চালগুঁড়ো বা খড়িমাটি গোলা আলপনা নয়। এর পোশাকি নাম ‘রঙ্গোলি’, যার মূল উপকরণ রঙিন আবির। এই উৎসবে মনের রঙে ঘর ভরাতে রঙ্গোলির জুড়ি মেলা ভার। কাজেই কেবল অবাঙালি নয়, বঙ্গললনার অঙ্গনেও এই রঙের ফোয়ারা। Rangoli তৈরি করাটাও এমন কিছু কঠিন নয়। স্রেফ পছন্দের নকশা এঁকে উপরে ছড়িয়ে দিন আবির আর গোলাপ বা গাঁদার পাপড়ি। এটুকুতেই ঘরে ফুটে উঠবে উৎসবের রূপ।

আলপনা আসলে আপ্যায়ন। এই বিশ্বাস থেকেই সম্পদের দেবীর আরাধনায় আলপনা আঁকেন গৃহিনীরা। চালের গুঁড়োর সঙ্গে জল মিশিয়ে যে অমন শিল্পকর্ম সৃষ্টি করা যায় তা বাঙালি গৃহবধূমাত্রই জানেন। কিন্তু উত্তর ভারতে চলে রঙ্গোলির রীতি৷এই কাজটি করতে অবশ্য নিপুণ দক্ষতা লাগে। সময় নিয়ে সুচারু ভাবে ফুটিয়ে তুলতে হয় Diwali-র এই সৃজনশীলতা।

Traditional Rangoli in Diwali

প্রধানত মুখ্য দরজার সামনে রংগোলি আঁকা হয় অতিথিদের অভ্যর্থনা জানানোর জন্য। সাধারণত স্বর্গীয় প্রতীক চাঁদ, তারা এবং অন্যান্য সাইন থিম হিসেবে রংগোলিতে ব্যবহৃত হয়। মনে করা হয় রংগোলির ডিজাইন পজিটিভ এনার্জি নিয়ে আসে বাড়ির অন্দরে।

তবে রেডিমেড রংগোলি-ও এখন সহজে কিনে এনে বসিয়ে দেওয়া যায়। স্বস্তিকা চিহ্ন অথবা ওঙ্কার চিহ্ন কিন্তু মাটিতে রংগোলি আঁকার সময় কখনও ব্যবহার হয় না। বস্তুত Rangoli আঁকার রীতিকে খুবই শুভ বলে মানা হয়।

এই ব্যস্ততার দিনকালে এখন অত সময় গৃহিণীদের হাতে নেই। ফলে হারিয়ে যেতে বসেছে এই সাবেক শিল্প।গত কয়েক বছর ধরে আলপনার বিকল্পে রমরমিয়ে উঠেছে স্টিকারের বাজার। বাজারে রঙ্গোলির স্টিকারও এখন পাওয়া যায়, তাই সময় না পেলে সেগুলো কিনে ঘর সাজালেই চলবে। ঘরের কোনও এক কোণায় আলো করে থাক রঙ্গোলির রঙিন অপেক্ষা। এই অপেক্ষা অতিথির জন্য৷

आगे की कहानी पढ़ने के लिए सब्सक्राइब करें

ডিজিটাল

(1 साल)
USD10
 
সাবস্ক্রাইব করুন

ডিজিটাল + 12 প্রিন্ট ম্যাগাজিন

(1 साल)
USD79
 
সাবস্ক্রাইব করুন
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...