ফিটকিরি চেনেন না এমন মানুষের সংখ্যা কম। কিন্তু ফিটকিরি-র বহুবিধ ব্যবহার সম্পর্কে ধারণা হয়তো সবার নেই। অর্ধস্বচ্ছ বরফের মতো কঠিন এই খনিজ দ্রব্যটি, সস্তা এবং সহজলভ্য। কারণ, এটি এখন ল্যাবরেটরি-তে কৃত্রিম ভাবে তৈরি করা হয়। এর স্বাদ নোনতা এবং কষা। এটির সঠিক ব্যবহারে কী কী উপকার পাওয়া যায়, তা জেনে নিন।
জল শোধনকারী : সেই প্রাচীনকাল থেকেই জল শোধনে ব্যবহৃৎ হয়ে আসছে ফিটকিরি। জলে কোনও ময়লা বা জীবাণু থাকলে, এক টুকরো ফিটকিরি ফেলে দিন, দেখবেন কিছুক্ষণ পরে ময়লা নীচে থিতিয়ে যাবে। এরপর আস্তে করে উপরের জলটুকু অন্য পাত্রে ঢেলে ব্যবহার করতে পারেন।
জীবাণুনাশক : অ্যান্টিসেপটিক হিসাবে খুব কার্যকরি ভূমিকা নেয় ফিটকিরি। তাই, দাড়ি কাটতে গিয়ে হঠাৎ গাল কেটে গেলে ফিটিকিরি ঘষে দিন। এতে রক্তও বন্ধ হবে এবং জীবাণুর সংক্রমণ থেকেও রক্ষা পাওয়া যাবে।
ঘামাচি দূর করে : গরমে অনেকের ঘামাচির সমস্যা দেখা দেয়। আর এই ঘামাচি দূর করার জন্য ফিটকিরির সাহায্য নিন। স্নানের জলে এক টুকরো ফিটকিরি ফেলে স্নান করুন, ঘামাচির সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
ব্রণ দূর করে : সাধারণত ত্বকে জীবাণুর আক্রমণ ঘটলে এবং পেট পরিষ্কার না-থাকলেই ব্রণ-র সমস্যা দেখা দেয়। তাই, পেট পরিষ্কার রাখার জন্য খান ফাইবার-যুক্ত খাবার। ফিটিকিরি জলে চুবিয়ে আস্তে আস্তে ব্রণর উপর ঘষতে থাকুন। এক মিনিট পর ঠান্ডা জলে মুখ ধুয়ে নিন, ব্রণ দূর হবে।
মুখের দুর্গন্ধ দূর করে : মুখের ভিতর ঠিক মতো পরিষ্কার না রাখার জন্য কিংবা বাজে টুথপেস্ট ব্যবহার করার কারণে মুখগহ্বরে জীবাণু বাসা বাঁধে এবং দুর্গন্ধ হয়। এক্ষেত্রে হালকা গরম জলে একটু নুন এবং ফিটকিরির সামান্য গুঁড়ো মিশিয়ে গার্গল করুন। মুখের দুর্গন্ধ দূর হবে এবং দাঁতে ব্যথা থাকলে তাও দূর হবে।
মাথার উকুন মারে : চায়ের লিকার ঠান্ডা করে, ওর মধ্যে ফিটকিরির সামান্য গুঁড়ো মিশিয়ে মাথায় মাখুন এবং তিরিশ মিনিট পর শ্যাম্পু করুন। টানা তিনদিন এই পদ্ধতি প্রয়োগ করলে উকুন উধাও হয়ে যাবে।