কিছু মহিলার কাছে বাড়ি বসে থাকার চেয়ে বাইরে গিয়ে কিছু কেনাকাটা করাটাই সময় কাটানোর শ্রেষ্ঠ উপায়। বাড়ির বাইরে বের হওয়াটাতে এই ধরনের মহিলারা একধরনের আত্মবিশ্বাস ফিরে পান ও শেষে কেনার মাধ্যমে, তা যেন পরিপূর্ণতা পায়। রেগুলার শপিং যেতে না পারলে অনেক সময় অবসাদগ্রস্ত হয়েও পড়তে দেখা যায়। কেনাকাটায় নেশাগ্রস্ত মানুষের আচরণে কিছু বিশেষ বৈশিষ্ট থাকে। Excessive shopping করার সময় শপঅ্যালকোহলিকদের শরীরে অ্যাড্রেনালিন-এর নিঃসরণ বৃদ্ধি পায়। এটা তাদের সাময়িক সুখের অনুভূতি দেয়।
কেনার ঝোঁকের শুরু কীসে
সমীক্ষা বলছে, মনের চাপ, একাকীত্ব, আত্মবিশ্বাস হ্রাস পাওয়া ও সহযোগীদের সঙ্গে দলে পড়া, ইত্যাদি কারণে কেনাকাটার ঝোঁক চাপে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কেনাকাটা করার পর এক ধরনের অপরাধবোধও ঘিরে ধরে।
কম্পালসিভ বাইং ডিসঅর্ডার
যারা ডিপ্রেশনে ভোগেন, প্রায়ই তাদের মধ্যে কম্পালসিভ বাইং ডিসঅর্ডার হতে দেখা যায়। সমাজে অন্য মানুষের সঙ্গে সম্পর্কের খামতিকে প্রায়ই অনাবশ্যক কেনাকাটা দিয়ে ভরিয়ে তুলতে চান এঁরা। কেনাকাটা করলে, এঁদের অনুভূত মনের কষ্ট কমে যায়। এই পরিস্থিতির চরমে কেনবার টাকা জোগাড়ের জন্য তারা মিথ্যের আশ্রয় নেন বা চুরি পর্যন্তও করেন। এতে অনেকসময় তাদের অন্যের সঙ্গে খারাপ হতে থাকা সম্পর্ক, আরও খারাপ হয়ে যেতে পারে। এমনকী তারা ঋণগ্রস্তও হতে পারেন। কিন্তু তাও তারা একধরনের আনন্দ পেতে, মোটা অঙ্কের টাকা খরচ করে Excessive shopping করতে পেছপা হন না।
অসুখী বিবাহিত জীবন, মারাত্মক হীনম্মন্যতায় ও হতাশায় ভোগা মহিলারা, তাদের কষ্ট থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য নানান শপিং মলে যান, অনাবশ্যক কেনাকাটা করেন ও টাকা ওড়ান। তুলনায় পুরুষরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এধরনের জীবনযাত্রা থেকে আপাতমুক্তি পেতে খেলাধুলোর বা অন্য কাজকর্মের সাহায্য নেন।
‘মেন, উইমেন অ্যান্ড রিলেশনশিপস' বইয়ের লেখক জন গ্রে বলেছেন, ‘আমাদের ইমোশনাল ক্ষতগুলির প্রতিক্রিয়াগুলি বেশিরভাগ সময়েই, ধ্বংসাত্মক ক্রিয়াকলাপ, মোহগ্রস্ত হওয়া বা নেশাসক্ত হয়ে পড়ার মাধ্যমেই ফুটে ওঠে। মনে করা হয় মদ্যপানের মতো বেশিরভাগ নেশার কারণই হল মানসিক কষ্ট। অসুখি দাম্পত্য বা জীবনে কোনও স্বপ্নপূরণ না হওয়ার ফলে হতাশায় ভোগা ব্যক্তিরা কষ্টমুক্তির জন্য আড্ডামারা, ডেটিং করা, অনিয়ন্ত্রিতভাবে জাংক ফুড খাওয়া ও অনাবশ্যক শপিং করার মতো নানা উপায়ের সাহায্য নিয়ে থাকেন।