আমাদের ইমোশনাল ক্ষতগুলির প্রতিক্রিয়াগুলি বেশিরভাগ সময়েই, ধ্বংসাত্মক ক্রিয়াকলাপ, মোহগ্রস্ত হওয়া বা নেশাসক্ত হয়ে পড়ার মাধ্যমেই ফুটে ওঠে। অসুখি দাম্পত্য বা জীবনে কোনও স্বপ্নপূরণ না হওয়ার ফলে হতাশায় ভোগা ব্যক্তিরা কষ্টমুক্তির জন্য আড্ডামারা, ডেটিং করা, অনিয়ন্ত্রিতভাবে জাংক ফুড খাওয়া ও অনাবশ্যক Impulsive buying বা শপিং করার মতো নানা উপায়ের সাহায্য নিয়ে থাকেন। তাহলে কীভাবে এই ইচ্ছা দমন করা সম্ভব বা প্রতিরোধ করা যেতে পারে চলুন জেনে নেওয়া যাক:-
শপাহলিকইজম প্রতিরোধের উপায়
- কেনাকাটার বাতিক বড্ড বেড়ে গেছে মনে হলে একজন ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি নিজে সাধারণত বুঝতে পারেন না তার ডাক্তার দেখানো দরকার। কিন্তু সেই ব্যক্তির কাউন্সেলিং-এর প্রয়োজন আছে। তাই তার পরিজনদের উচিত তাঁকে বুঝিয়ে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া।
- এরকম ব্যক্তির পরিবার পরিজনের উচিত তাঁর বিনোদনের সময়টা এমনভাবে পরিচালিত করা, যাতে তিনি কোনও দোকানে না যান। কেনাকাটি ছাড়া অন্য কোনও উপায়ে তাঁর মনোরঞ্জনের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। ব্যায়াম, বাগানে ঘোরা বা বাগানেরই জন্য কাজ করা, গান শোনা, মাসাজ নেওয়া ইত্যাদি কিছু করা যেতে পারে। এধরনের এক শপ অ্যাডিক্ট ব্যক্তি, হাসপাতালে স্বেচ্ছাসেবকের কাজ করে Impulsive buying-এর বাতিক থেকে রেহাই পেয়েছিলেন। এভাবে মনের কষ্ট কমানো ও দূর করা যায়।
- এখন খরচ করা বা কেনাকাটা করার পদ্ধতি ও উপায়ের সংখ্যা অগুন্তি। প্রশ্ন হল, কেনার দরকার আছে কিনা সেটা খতিয়ে দেখা। সংসারে কী বা কোন সামগ্রীর দরকার আছে তা নিয়ে বাড়িতে আলোচনা করুন। সবার মতামত সাপেক্ষেই কেনা উচিত। যে-সামগ্রীটি প্রয়োজন বলে সবারই মত, সেটির আবশ্যিকতা আছে। অন্যথায় সেটা কেনার ইচ্ছে দমন করুন বা কেবলমাত্র উইনডো-শপিং করে কেনার ইচ্ছে নষ্ট করে ফেলুন।
- কেনাকাটার বাতিক থাকতে কখনও ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করবেন না। সবসময় ক্যাশ ব্যবহার করুন। লোভ জাগিয়ে তোলা হোমশপিং চ্যানেল দেখবেন না। ডিসকাউন্ট স্টোর ইত্যাদিতে যাবেন না। যা যা কেনা আবশ্যিক তার তালিকা বানান। কেবল সেই তালিকা অনুযায়ী কেনাকাটা করুন এবং Impulsive buying অভ্যাস এড়িয়ে চলুন। সঙ্গে বন্ধু বা পরিজনকে নিয়ে গেলে অনেক লোভ এড়ানো যায়।
মনোবিশেষজ্ঞরা বলেন কোনও বদ অভ্যাস সারাজীবনের জন্য নিজস্ব ট্রেডমার্ক হয়ে গেলেও সঠিক ভাবে চেষ্টা করলে, তা নিশ্চয়ই বদলানো যায় বা ছেড়ে দেওয়াও যায়। তাই এই ক্ষতিকারক বাতিক দমন করে, তা থেকে মুক্ত হওয়ার চেষ্টা করুন।