বর্ষাকাল শুরু হলেও, মাঝেমধ্যে তাপপ্রবাহের কবলেও পড়তে হচ্ছে। কিন্তু তাতে কী! এরজন্য তো আর জীবন থেমে থাকে না, সে তার নিয়মেই বয়ে চলে। রোজকার বাইরে বেরোনো তো আর থেমে নেই। তাই পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে, সব বয়সের মহিলারাই ফ্যাশনেবল অথচ আরামদায়ক পোশাকের দিকেই বেশি ঝুঁকছেন। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, তাঁত, কোটা, মলমল, ভয়েল, লিনেন। নরম কাপড় আর ডিজাইনারদের অভিনব ডিজাইন– দুইয়ের মিশেলেই ভারতীয় আর ওয়েস্টার্ন পোশাকের ফিউশন সত্যিই অনবদ্য।
টিনএজার-রা তাদের পছন্দের তালিকায় রাখছেন ব্লক প্রিন্ট নয়তো বিভিন্ন রঙের ভ্যারিয়েশনে তৈরি ফুলেল অথবা জ্যামিতিক নকশা করা মলমল কাপড়ের কুর্তি কিংবা টপস্। স্টাইলিশ পোশাক বানাতে শুধুমাত্র টাচ-আপ হিসাবে দেওয়া হচ্ছে সরু পাইপিং। সঙ্গে সামনে কাঠের বড়ো বোতাম। অনেকেই আবার রংচঙে পাতিয়ালা সেটের সঙ্গে একরঙা কুর্তিও বেছে নিচ্ছেন। পাতিয়ালার সঙ্গে শর্ট, লং দুইরকমের কুর্তিই চলতে পারে, তবে শর্ট কুর্তিই বেশি ভালো লাগে। অনেকে ওয়ার্ডরোবে আনারকলি কুর্তিও রাখছেন। এছাড়া জিন্স, লেগিংস, গেঞ্জি কাপড়ের টপস্, সালোয়ার তো চলছেই। জিন্সের সঙ্গে পিনটাক টপস্ বা টিউনিক আজকাল ভীষণভাবে ইন। এই ঋতুতে ফ্যাশনেবল হয়ে উঠতে খান দুয়েক ক্রাশড স্কার্টও কিনে নিতে পারেন। এতে লুকটাও বদলাবে।
যেসব মহিলারা জিন্স এড়িয়ে চলেন বা সেই অর্থে পরতে ভালোবাসেন না, তাদের জন্য তো বাংলার ঐতিহ্যশালী তাঁত রয়েছে। হাইনেক কাটের থ্রি-কোয়ার্টার অথবা স্লিভলেস কলমকারী ব্লাউজের সঙ্গে মানানসই একখানা ফুলিয়ার তাঁত আপনাকে নজরকাড়া করে তুলতে বাধ্য। সঙ্গে যদি থাকে হালকা ডিজাইনের কিছু কস্টিউম জুয়েলারি, তাহলে একেবারে সোনায় সোহাগা। এছাড়া এই মরশুমের জন্য ঢাকাই, পাটোলা, কোটা, শিফন, কেরল কটন একেবারে আদর্শ। শুধু মহিলারাই কেন বর্তমানে টিনএজাররাও এই শাড়িগুলি বেশ পছন্দ করছেন। কলেজ ফেস্ট থেকে অফিস পার্টিতেও এসব পরতে দেখা যায় তাদের। এবারের ফ্যাশনে নিওন কালার অর্থাৎ ডিপ-নীল, ইয়েলো, পিংক, ভীষণভাবে ইন।