ডিজিটাল উপকরণ থেকে নির্গত নীল আলোর ক্ষতিকারক দিকগুলি নিয়ে ভেবেছেন কখনও? এই আলো আসলে আমাদের ত্বক, চোখ এবং মস্তিষ্কে কুপ্রভাব ফেলে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হল এই যে, সূর্যের ইউভি রশ্মি থেকে আমরা নিজেদের যতটা বাঁচিয়ে রাখি, এই নীল আলোর কুপ্রভাব নিয়ে আমরা কিন্তু ততটা ভাবি না।
সমীক্ষা অনুযায়ী দেখা গেছে যে, এই নীল আলো আমাদের ত্বককেই রুক্ষ্ম, শুষ্ক, শিথিল করে তোলে না, সঙ্গে হাইপারপিগমেনটেশন সহ অকাল বার্ধক্য নিয়ে আসে। মোট জনসংখ্যার প্রায় ষাট
শতাংশ লোক দিনরাত মিলে প্রায় ৮ থেকে ১০ ঘন্টা থাকেন ডিজিটাল সি্্ক্রন-এর সামনে। তাই দেখা যাচ্ছে, সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মির থেকে বেশি ক্ষতি হচ্ছে এই নীল আলো থেকে।
হাই এনার্জি ভিসিবল লাইটও বলা হয় এই ব্লু-লাইটকে। ইউভি লাইট-এর থেকেও এই নীল লাইট ত্বকের গভীরে ঢুকে বেশি ক্ষতি করে। তাই, ত্বকের সুরক্ষার জন্য ঘরে এবং বাইরে সর্বত্র সতর্কতা জরুরি।
ত্বককে দুর্বল করে ব্লু লাইট
সাম্প্রতিক সমীক্ষায় দেখা গেছে, সূর্যের আল্ট্রা ভায়োলেট রশ্মির তুলনায়, ব্লু লাইট রেডিয়েশন-এর সঙ্গে যদি দীর্ঘসময় সম্পর্ক থাকে– তাহলে বেশি পিগ্মেনটেশন, ত্বক পাতলা হয়ে লাল হয়ে যাওয়া প্রভৃতি সমস্যা হয়। এর ফলে ত্বক দুর্বল হয়ে নানারকম রোগের কবলে পড়ে।
সমীক্ষায় আরও দেখা গেছে যে, নীল আলো পড়ার কারণে, রক্তকোষে ফ্রি র্যাডিকেল্স দ্রুত বেড়ে গিয়ে ত্বকের প্রচুর ক্ষতি করে। এরমধ্যে সবচেয়ে বড়ো ক্ষতি হল, ত্বকের প্রোটিন কমে যাওয়া।
সময়ের আগে বার্ধক্য রোধ করার ইচ্ছে যদি থাকে, তাহলে শুধু সূর্যের আল্ট্রা ভায়োলেট রশ্মি থেকে ত্বককে বাঁচানোর সানসি্্ক্রন লোশন ব্যবহার করলে চলবে না, এমন লোশন ব্যবহার করতে হবে, যা ব্লু লাইট-এর ক্ষতিকারক প্রভাব থেকেও বাঁচাবে।
গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
নানারকম সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, বেশিরভাগ নারী-পুরুষ দিনরাতের মধ্যে প্রায় ৮ থেকে ১০ ঘন্টা সরাসরি টিভি, কম্পিউটার অথবা মোবাইল ফোনের ব্লু লাইট-এর সঙ্গে থাকেন। ওই সময়ের মধ্যে অনেকবার মোবাইল ফোন অফ অন করতে দেখা যায়, যা অত্যন্ত ক্ষতিকারক। বলা যায়, অনেকটা সময় সূর্যের আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মি ত্বকে পড়লেও এতটা ক্ষতি হয় না।