ধরা যাক কাজের বোঝায় work pressure আজ সারাদিন আপনি মনিটর থেকে চোখ সরাতেই পারেননি। দিনের শেষে চোখ লাল, মুখ ক্লান্তিতে বিবর্ণ। হঠাৎই শুনলেন এক সহকর্মী সন্ধেবেলায় একটি সারপ্রাইজ সাকসেস পার্টির আয়োজন করেছে। অতএব আপনাকে ফ্রেশ আর সুন্দব লুক-এ প্রেজেন্টবল হয়েই নিজেকে হাজির করতে হবে সবার সামনে। এটাই একটা বড়ো চ্যালেঞ্জ। কিন্তু চ্যালেঞ্জ-টা সামলে ওঠাও অসম্ভব নয়।
ধরা যাক গত এক সপ্তাহ ধরে চলছে হেকটিক ওয়ার্কলোড, এদিকে দিনের শেষে আপনার ওপরই দায়িত্ব পড়েছে প্রেজেন্টেশনের। ক্লায়েন্টের সামনে তো আর যেমন-তেমন হয়ে উপস্থিত করা যায় না নিজেকে। তাই চট করে প্রস্তুত হয়ে নিতে হবে। সুন্দর থাকা, সুন্দর অ্যাটিটিউড-এ নিজেকে প্রেজেন্টেবল করে তোলা, একটি বিশেষ গুণ। এই গুণটি আয়ত্ত করতে পারলে সহজেই ওয়ার্কপ্লেস-এ আপনার একটা ‘ইমেজ’ বিল্ড-আপ করতে পারবেন।
আসলে সুন্দর থাকার সূত্রপাতটি হয় ভেতর থেকে। আপনি অন্তর থেকে যদি মনে করেন যে আপনি ক্লান্ত নন, তাহলে আর অতটা ক্লান্ত ভাব আপনার মুখে ফুটে উঠবে না। ক্লান্তি দূর করতে ওয়াশরুমে গিয়ে প্রথমে মুখে উষ্ণ গরম জল ও পরে ঠান্ডা জলের ঝাপটা দিন। ব্যাগে শসার টুকরো রাখুন। চোখের উপর শসার টুকরো রেখে খানিক্ষণ চোখ বন্ধ করে রিল্যাকস করুন। এবার ওই শসার টুকরোগুলো বন্ধ চোখের উপরে, আঙুলের হালকা চাপে চক্রাকারে ঘোরান। এর ফলে চোখের ক্লান্তি অনেকটা দূর হবে।
ব্যাগে সবসময় ক্লে-প্যাক (মুলতানি মাটি) রাখুন। এই প্যাক লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে ধুয়ে ফেলুন। এটি স্কিন টাইট করতে সাহয্য করে। এবার মুখে ময়েশ্চারাইজার লাগান। তারপর লাগান ভালো কোম্পানির লাইট অর্গ্যানিক ক্রিম। এটি প্রয়োগের ফলে মুখের আনইভন টোন অনেকটাই ঢেকে ফেলতে পারবেন। হালকা কম্প্যাকট ও তার উপর সামান্য গ্লিটার - পার্টির সাজে এটুকুই যথেষ্ট।
এবার চোখের মেক-আপ করুন। উপরের আইলিড-এ লাইনার আর নীচের চোখে কাজল লাগান। পোশাকের সঙ্গে রং মিলিয়ে লুজ আইশ্যাডো। লাইনার লাগানোর সময় চোখ থেকে বাইরের দিকে রেখা না টানাই ভালো। সবশেষে দিন মাসকারার ছোঁয়া। পোশাক নির্বাচনের ক্ষেত্রে উজ্জ্বল রং বাছা-ই ভালো। রঙের একটা প্রভাব পড়ে মনের উপর। পোশাকের সঙ্গে মনও ঝলমলিয়ে উঠবে এবং ক্লান্তি নিমেষে অদৃশ্য হবে।