বেশ কিছুদিন ধরে খুশকির সমস্যায় ভুগছি। শীতকালে এই সমস্যা আরও দ্বিগুন বৃদ্ধি পায়। অনেকরকম অ্যান্টি ড্যানড্রাফ শ্যাম্পু ব্যবহার করে দেখেছি কিন্তু উপকার হয়নি। এছাড়াও Dandruff-এর জন্য মাথার স্ক্যাল্পে চুলকানিও হয়। এই সমস্যার কী সমাধান?
সাধারণত ড্রাই এবং অয়েলি দুরকমের চুলেই খুশকির সমস্যা দেখা দেয়। বিশেষ করে শীতকালে বাতাসে আদ্রতা কম থাকায় খুশকি বেশি হয়। বাতাস শুষ্ক হয়ে যাওয়ার ফলে চামড়া শুকিয়ে যায়। পুরনো চামড়া উঠে গিয়ে নতুন চামড়া তৈরি হয়। এই মৃত চামড়া বা কোশগুলিকে আমরা খুশকি বলে থাকি। শীতকালে খুশকি হলেই চুল ঝরতে শুরু করে এবং চুলও হয়ে পড়ে শুষ্ক ও রুক্ষ।
ঠিক সময়মতো যদি খুশকি কন্ট্রোল করা না হয় তাহলে ত্বকে খুশকি ঝরে পড়লে সংক্রমণ ছড়াবার ভয় থেকে যায়। এছাড়াও চুলের গোড়া দুর্বল হয়ে পড়ে। এসবই কারণ হল, অকালে চুল ঝরে পড়ার। সুতরাং সময় থাকতে খুশকির চিকিৎসা করানো খুব দরকার। এর জন্য সপ্তাহে অন্তত তিনবার চুলে শ্যাম্পু করুন এবং খুব বেশি গরমজলে চুল ধোবেন না, ঈষদুষ্ণ জল ব্যবহার করুন।
Dandruff-এর সংক্রমণ থেকে বাঁচবার জন্য নিজের চিরুনি, তোয়ালে, বালিশ আলাদা রাখুন এবং বিশেষ যত্ন নিয়ে এগুলি পরিষ্কার করুন। চুল যখনই ধোবেন তখনই আগে থেকে চিরুনি, তোয়ালে এবং বালিশের ঢাকা ভালো অ্যান্টিসেপ্টিক লিকুইডে আধঘন্টা ভিজিয়ে রেখে ভালো করে রোদে শুকিয়ে তারপরেই ব্যবহার করুন।
চুল যদি তৈলাক্ত হয় তাহলে ১ চামচ ত্রিফলা পাউডার ১ গেলাস জলে দিয়ে ভালো করে ফুটিয়ে নিন। ঠান্ডা হয়ে গেলে ছেঁকে নিয়ে এর সঙ্গে ২ বড়ো চামচ ভিনিগার মিশিয়ে নিন। রাত্রে এই মিশ্রণটি দিয়ে সারা চুলে ও স্ক্যাল্পে মাসাজ করুন। সকালবেলা ভালো করে চুলে শ্যাম্পু করে নিন। সপ্তাহে ৩-৪ দিন এটি ব্যবহার করে দেখতে পারেন।
এই প্রক্রিয়াগুলি ট্রাই করা সত্ত্বেও যদি সমস্যা থেকে যায় তাহলে ভালো কসমেটিক ক্লিনিকে গিয়ে ওজোন ট্রিটমেন্ট বা বায়পট্রন-এর সিটিং নিতে পারেন। এতে Dandruff কন্ট্রোল হবেই উপরন্তু চুল পড়ার সমস্যাও নিয়ন্ত্রণ হবে।