খুব ছোটোবেলাতেই বাবাকে হারিয়েছি। আমি ওনাদের একমাত্র মেয়ে। বাবা মারা যাওয়ার পর, বাবার অফিসেই মা চাকরি পান। তিনিই আমায় বড়ো করেছেন। কোনও অভাব অভিযোগ রাখেননি। এখন আমি জীবনে প্রতিষ্ঠিত। বড় একটি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে কর্মরতা। এখন মায়ের কষ্টটা বুঝতে পারি। আমাকে মানুষ করতে, নিজেকে অনেক আনন্দ থেকে বঞ্চিত রেখেছেন, কিন্তু আমার সাধ আহল্হাদ অপূর্ণ রাখেননি কোনোদিনও।

বাবার এক বন্ধু বরাবরই আমাদের পরিবারের খুব ক্লোজ। তিনি মায়েরও খুব ঘনিষ্ঠ। আত্মীয় মহলে কানাঘুষো শুনি, কাকু মা-কে ভালোবাসেন বলে সারাজীবন বিয়েই করলেন না। নানা বিপদে ওনাকে মায়ের পাশে দাঁড়াতে দেখেছি। এই বয়সেও কাকু এতো হ্যান্ডসাম যে বহু মেয়ের মাথা এখনও ঘুরিয়ে দিতে পারেন। আমিও ওনার প্রতি প্রচন্ড আকর্ষণ অনুভব করি। আমার সমবয়সী ছেলে বন্ধুদের কাউকেই আমার ভালো লাগে না। তারা প্রেমের প্রস্তাব দিলেই মনে মনে একটা তুলনা চলে আসে কাকুর সঙ্গে। ওঁর মতো নির্ভরযোগ্য কাউকেই মনে হয় না । আমি কাকুকে বিয়ে করতে চাই। কিন্তু মায়ের মনোভাবটা পরিষ্কার স্পষ্ট করে বুঝতে পারি না। কী করব বলে দিন।

 

আপনার কথা থেকে আন্দাজ পাওয়া যাচ্ছে আপনার মা-ও ওই ভদ্রলোক পরস্পরকে ভালোবাসেন, সম্মান করেন ও নির্ভর করেন একে অন্যের উপর। হয়তো সামাজিক সম্মান রক্ষার্থে ওঁরা সম্পর্কের সীমা পার করেননি। আপনাকে মানুষ করার জন্য হয়তো আপনার মা আত্মত্যাগ করেছেন। নিজের ভালো করতে গিয়ে আপনাকে প্রাপ্য আদর থেকে বঞ্চিত করেননি।আপনারও উচিত এর প্রতিদান দেওয়া। আপনি বরং কাকুর সঙ্গে আলাদা ভাবে কথা বলে তাঁর আপনার মায়ের ব্যাপারে কী মনোভাব, তা জানতে চান। ওঁরা যদি পরস্পরকে ভালোবেসে থাকেন তাহলে আপনি ওদের সম্পর্ককে স্বীকৃতি দিয়ে একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারেন। আপনার যোগ্য কোনও মানুষ ভবিষ্যতে আপনার জীবনে আসবে। তাকে নিয়ে অবশ্যই সুখী হবেন। আপনিও মায়ের জন্য কিছু করুন। ওদের পাশে দাঁড়ান।

आगे की कहानी पढ़ने के लिए सब्सक्राइब करें

ডিজিটাল

(1 साल)
USD10
 
সাবস্ক্রাইব করুন

ডিজিটাল + 12 প্রিন্ট ম্যাগাজিন

(1 साल)
USD79
 
সাবস্ক্রাইব করুন
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...