প্রঃ আমি ৩৮ বছরের যুবতি৷ আমার জীবনের বেদনাদায়ক একটি পুরোনো আধ্যায় আছে৷ কলেজ জীবনের প্রমিককে বিয়ে করেছিলাম বাড়ির অমতে, এক রাতের হঠকারী সিদ্ধান্তে৷ বলাইবাহুল্য সেই বিয়ের অভিজ্ঞতা মোটেই ভালো ছিল না৷ তার নানাবিধ কারণ ছিল৷ ২ বছর খুব কষ্ট করে মানিয়ে নেওয়ার পর আর না পেরে আমি বাপেরবাড়ি চলে আসি এবং ডিভোর্সের জন্য আবেদন করি৷ বিস্তর ঝামেলা পোহানোর পর ডিভোর্স পাই এবং সিদ্ধান্ত নিই যে আর বিয়ে করব না৷

কিন্ত জীবন বোধহয় সরল রেখায় চলে না৷ বর্তমানে আমার এক সহকর্মী আমায় বিবাহের প্রস্তাব দিয়েছেন৷ আমি যে তাকে খুব অপছন্দ করি বা মানুষ হিসাবে তিনি খুব ভালো নন—এরকম নয়৷ বাড়িতে বিষয়টি জানিয়েছি৷ পরিবারের সকলেই বলছেন এই বিয়েতে রাজি হয়ে যেতে,কিন্তু আমি দ্বিধাবিভক্ত৷ পুরোনো স্মৃতি, ভালো খারাপ মিশয়েই, এখনও আমার মনে একটা বড়ো অংশ দখল করে আছে৷ আমি এটার থেকে বোরোতে পারছি না৷ এই পরিস্থিতিতে কি নতুন জীবনসঙ্গীর সঙ্গে সুখী হতে পারব?

উঃ বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়ে আপনি পুরোনো সঙ্গীর সঙ্গে একটা অভ্যাসের বাঁধনে আটকা পড়ে গেছেন। এখন বিচ্ছেদের পর সেই অভ্যাস থেকে তো বের হয়ে আসতে হবে। এর সেরা উপায় হল নতুন অভ্যাস তৈরি করা। নতুন কোনও শখ, যেমন লেখালেখি, সমাজকল্যাণমূলক কাজ, রান্না, সাঁতার কাটা, সাইকেল চালানো, ছবি আঁকা- এসব কিছুকে আপন করে নিন। নতুন কোনও লক্ষ্যকে খুঁজে নিন। মনের ফাঁকা স্পেসটাতে এবার একটু একটু করে নতুন সঙ্গীকে ঠাঁই দিন৷ আপনার মননে মাঝেমাঝেই তাকে নিজের জায়গা করে নিতে দিন৷

অতীতকে ভোলা যদিও বেশ কষ্টের বিষয়, তবে মানুষ ইচ্ছে করলে সব কিছু পারে। বিচ্ছেদের পর অনেকে পুরোনো সম্পর্ককে অস্বীকার করতে চায় কিন্তু দেখা গেছে এই অস্বীকৃতি সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে তোলে। তাই নিজের ভবিষ্যতের জন্য অতীতের খারাপ দিনগুলোকে ভুলে যান। অতীতের কষ্টের দিনগুলো আপনার পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়াবে। তাই যা ঘটেছে মেনে নিন কিন্তু সেখানে পড়ে থাকবেন না৷ পুরোনো স্মৃতি ভুলে নতুন স্মৃতি তৈরি করুন। কারণ পুরোনো স্মৃতি আপনার জন্য শুধু বেদনাই বয়ে নিয়ে আসবে।

आगे की कहानी पढ़ने के लिए सब्सक्राइब करें

ডিজিটাল

(1 साल)
USD10
 
সাবস্ক্রাইব করুন

ডিজিটাল + 12 প্রিন্ট ম্যাগাজিন

(1 साल)
USD79
 
সাবস্ক্রাইব করুন
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...