এখন পরীক্ষা-নিরীক্ষায় প্রমাণিত যে, সর্বশ্রেষ্ঠ ভ্রূণ বেছে নেওয়ার অত্যাধুনিক যে-পদ্ধতি বার হয়েছে, তার সাফল্য IVF-এর সাফল্যকে ৭৮ শতাংশ পর্যন্ত বাড়াতে সাহায্য করেছে।
আমার বয়স ৩১ বছর, চাকরি করি না। ১০ বছর হয়েছে আমার বিয়ের কিন্তু আমাদের কোনও সন্তান নেই। আমি IVF করাতে চাই কিন্তু শুনেছি এই পদ্ধতিতে জন্মানো বাচ্চার মধ্যে জন্মগত শারীরিক বিকৃতি ঘটার সম্ভাবনা বেশি থাকে। এটা কি ঠিক?
স্বাভাবিক ভাবে জন্মানো বাচ্চার থেকে আইভিএফ পদ্ধতিতে জন্মানো বাচ্চার জন্মগত শারীরিক বিকৃতি হওয়ার সম্ভাবনা মাত্র ১ থেকে ২ শতাংশ বেশি থাকে। স্বাভাবিক গর্ভধারণের ক্ষেত্রে এই আশঙ্কা প্রতি ১৫টি বাচ্চার মধ্যে ১ জনের হওয়ার ভয় থাকে। সেই তুলনায় আইভিএফ-এর ক্ষেত্রে প্রতি ১২টি বাচ্চার মধ্যে ১জনের হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। IVF প্রক্রিয়ায় বাচ্চাদের ক্রসোসোমাল ডিফেক্ট থেকে নিরাপদে থাকার জন্য সময় থাকতে ভ্রূণের প্রাইমপ্লাইটেশান পরীক্ষার সুযোগ করে দেয়। অ্যাসিস্টেড রিপ্রোডাক্টিভ টেকনিকের সাহায্যে নতুন পদ্ধতি আবিষ্কারের চেষ্টা চলছে। মহিলার বয়স ৩৫ এবং পুরুষের বয়স ৪৮ এর বেশি হলে অথবা বংশগত রোগের পারিবারিক ইতিহাস থাকলে এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সে সব বিষয় যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হয়। যারা কোনও কারণবশত সন্তান ধারণ করতে পারেননি তাদের এবং বংশানুক্রমে সুস্থ বাচ্চা যাতে জন্ম দেওয়া যায় — এ দুটোর ক্ষেত্রেই এই পদ্ধতি অনেকটা সাহায্য করবে।
স্বাভাবিক কোনও দম্পতি যাদের বন্ধ্যাত্বের সমস্যা নেই অথচ এমন কোনও জিন তাদের শরীরে রয়েছে যেটা সম্পূর্ণ বংশানুক্রমিক যেমন থেলাসিমিয়া, ইনটেসটাইন ডিজিজ, ডাউন সিন্ড্রোম, টার্নার সিন্ড্রোম ইত্যাদি, এই পদ্ধতিটি সেইসব দম্পতিও যাতে সুস্থ বাচ্চার জন্ম দিতে পারে তাতেও সাহায্যে করবে। ভ্রূণকে বিকশিত করার পর ল্যাবে পরীক্ষা করা হয়। যেসব ভ্রূণে, জেনেটিকালি কোনও সমস্যা থাকে না, সেই ভ্রূণই একমাত্র মহিলাদের গর্ভে ইমপ্লান্ট করা হয়। প্রথম প্রথম আইভিএফ-এর সাফল্য ২০ থেকে ৪০ শতাংশ হতো। এখন পরীক্ষা-নিরীক্ষায় জানা গেছে যে, সর্বশ্রেষ্ঠ ভ্রূণ বেছে নেওয়ার অত্যাধুনিক যে-পদ্ধতি বার হয়েছে, তার সাফল্য IVF-এর সাফল্যকে ৭৮ শতাংশ পর্যন্ত বাড়াতে সাহায্য করেছে।