লকডাউন থেকে শুরু হয়ে এখনও ওয়ার্ক ফ্রম হোম চালু থাকায় দিনের বেশিরভাগ সময়ে আমাকে ল্যাপটপ বা মোবাইল ফোনে ব্যস্ত থাকতে হয়। অফিসের কাজের সঙ্গে সঙ্গে অন্য কাজও করতে হয়। একটাই ভালো দিক যে, সময়টা কেটে যাচ্ছে কিন্তু বর্তমানে Eye Problems বেশ ভোগাচ্ছে। চোখে ক্লান্তি অনুভব, মাঝে মাঝে চোখ ঝাপসা হয়ে যাওয়া, শরীরে ব্যথা ব্যথা ভাব ইত্যাদি লেগেই আছে। কাজের চাপে জিম-এ যাওয়াও অনিয়মিত হয়ে পড়েছে। কী করে এই সমস্যার মোকাবিলা করব বুঝে উঠতে পারছি না।
দীর্ঘসময় ল্যাপটপ অথবা মোবাইল ফোনে কাজ করার জন্য Eye Problems হচ্ছে। তার উপর জিম বন্ধ হওয়াতে এক্সারসাইজ বন্ধ ফলে শরীরে সমস্যা হচ্ছে। আপনার শারীরিক পরিস্থিতি নির্ভর করছে আপনি নিজে কীভাবে সারাদিনটা কাটাচ্ছেন। আপনার ছোটো ছোটো সিদ্ধান্তের উপরেও কিন্তু নির্ভর করছে আপনার শারীরিক ও মানসিক সুস্বাস্থ্য। অফিস যদি এখনও খুলে না থাকে এবং ওয়ার্ক ফ্রম হোম করতে হচ্ছে তাহলে জিম যাওয়ার বদলে বাড়িতেই যে ব্যায়ামগুলো করা সম্ভব সেগুলি ট্রাই করতে পারেন। পুশআপ, সিটআপস, স্ট্রেচিং, হাত-কাঁধ-কোমরের ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ ইত্যাদি বাড়িতেই করা সম্ভব। বারান্দায়, ছাদে, রাস্তায়, ওয়াক করুন। মা-বাবা বা বাড়ির অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে অনায়াসেই এই ড্রিলগুলি ট্রাই করতে পারেন।
২৪ ঘন্টা মোবাইল, ল্যাপটপ-এ সময় না কাটিয়ে পরিবারের সকলের সঙ্গে কোয়ালিটি সময় কাটান। পুরোনো ছবি দেখুন, পুরোনো স্মৃতি ঝালিয়ে নিন। রেসিপি দেখে রান্না করুন এতে মাকেও সাহায্য করা হবে। বাড়িতে গাছ থাকলে গাছের পরিচর্যা করুন। বই পড়ুন, বাড়ির অন্যান্য কাজেও হাত লাগান। দেখবেন মনও ভালো থাকবে এবং নতুন কিছু করারও উৎসাহ পাবেন।
যখন অফিসের কাজ করতে বসবেন চেয়ার-টেবিলই ব্যবহার করবেন। এতে ঘাড়, কাঁধ এবং পিঠের উপর অনাবশ্যক প্রেশার পড়বে না। এমন জায়গায় ল্যাপটপ রাখুন সেখানে ওর উপর কিছু পড়ার বা কোনও ছায়া পড়ার চান্স নেই। ঘরে খুব বেশি আলো আসলে পর্দা ব্যবহার করুন। কাজের মাঝে মাঝেই চোখকে বিশ্রাম দিন। চেয়ারে বসেই ২-৩ মিনিট চোখ বন্ধ করে থাকুন। হাত দিয়ে চোখ ঢেকে রাখুন বা জানলার বাইরের দৃশ্য উপভোগ করুন। অনেকে ল্যাপটপের দিকে তাকিয়ে থাকতে গিয়ে চোখের পাতা ফেলতেও ভুলে যায়, যেটা একেবারেই অনুচিত। চোখে পাতা খোলা-বন্ধ করলে চোখের আর্দ্রতা বজায় থাকে এবং চোখের উপর প্রেশার কম পড়ে।