আমার বয়স ২৩ বছর । সদ্য স্নাতক স্তর উত্তীর্ণ হয়েছি। আমার মা-বাবা এক এনআরআই পাত্রের সঙ্গে আমার বিয়ে ঠিক করেছেন। ছেলেটিকে আমারও বেশ পছন্দ হয়েছে। প্রথম দর্শনেই প্রেম বলা চলে। আমাদের বিয়ের তারিখও ঠিক হয়ে গেছে। আর তিন মাস পরে আমি ছেলেটির সঙ্গে পরিণয়সূত্রে আবদ্ধ হব।

আমার শুধু একটি ব্যাপারেই দুশ্চিন্তা হচ্ছে। যেহেতু আমার হবু বর বিদেশেই কর্মরত, তাই আমাকেও ওর সঙ্গে প্রবাসে চলে যেতে হবে। তবে বিয়ের অন্তত চার বছর না পেরোলে ওর পক্ষে আমায় নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। এই সময়কালে দু’বছরে একবার করে আমাদের দেখা হওয়া সম্ভব। আমার দুশ্চিন্তা হচ্ছে যে, এই লং ডিসট্যান্স ম্যারেজ কি শেষ পর্যন্ত স্থায়ী হবে?

সত্যি বলতে কী, লং ডিসট্যান্স ম্যারেজ-এ এই অনিশ্চয়তা থেকেই যায়। স্বামী-স্ত্রী দুজনের পক্ষেই এভাবে দূরে থেকে বন্ডিং তৈরি হওয়া কঠিন হয়ে যায়। এছাড়া অন্য বিষয়টি হল যৌনতা। নব-বিবাহিতদের ক্ষেত্রে একটি নিয়মিত যৌনজীবন থাকা খুব জরুরি। কিন্তু এই অনিয়মিত যৌনাচারের কারণে পরস্পরের প্রতি অনাসক্ত হয়ে পড়ার তুমুল সম্ভাবনা থেকে যায়। এই সম্ভাবনাগুলো যদি আপনাদের ক্ষেত্রে তেমন জোরালো না মনে হয়, দুজন দুজনের ব্যাপারে আনুগত্য ও প্রেম বজায় রাখতে পারবেন বলে বিশ্বাস রাখেন, তাহলে এই বন্ধনে জড়াতে কোনও বাধা নেই আপনাদের।

তবে এই মুহূর্তে দুটি কাজ আপনাকে করতে হবে। প্রথমত আপনার হবু স্বামীর সঙ্গে দূরত্বের পরিণতির বিষয়টি নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা করুন। নিশ্চিত হয়ে নিন যাতে দুজনেই এই দূরে থাকার সময়টাতে পরস্পরের ব্যাপারে অনুরক্ত থাকেন।

দ্বিতীয়ত আপনার মা-বাবাকে আলাদা করে খোঁজ নিতে বলুন পাত্রটি সম্পর্কে, তার কর্মস্থল ও সামাজিক পরিচয়ের বিষয়ে। এমন ঘটনাও আজকাল বিরল নয় যে, বিদেশে স্ত্রী-সন্তান সমেত একটি পরিবার থাকা সত্ত্বেও, কু-উদ্দেশ্য নিয়ে কিংবা বাড়ির লোকের চাপে কেউ-কেউ দেশেও একটি বিবাহ করেন। এরকম দুর্ভাগ্যজনক ঘটনায় বিবাহিত মেয়েটির শেষ পর্যন্ত আর স্বামীর সঙ্গে বিদেশে যাওয়া সম্ভব হয় না এবং বিবাহটাই একটি প্রহসন হয়ে দাঁড়ায়। তাই এব্যাপারে আপনার পরিবারকে ভালো ভাবে ছেলেটির বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে তবেই এগোতে বলুন।

आगे की कहानी पढ़ने के लिए सब्सक्राइब करें

ডিজিটাল

(1 साल)
USD10
 
সাবস্ক্রাইব করুন

ডিজিটাল + 12 প্রিন্ট ম্যাগাজিন

(1 साल)
USD79
 
সাবস্ক্রাইব করুন
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...