আমার বয়স ৪৪। আমার স্বামী ৪৮।  আমরা গুরুগ্রামে থাকি৷ আমাদের একটিই কন্যা, ২০ বছর বয়স। বছর খানেক আগে আমি জানতে পারি সে আমাদের মালির ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করেছে। আমি তাকে শাসন করি, কিন্তু ওর বাবাকে জানাইনি তিনি বদরাগি বলে। এদিকে কয়েকদিন আগে আমার মেয়ে জানাল যে সে প্রেগন্যান্ট। আমার বারণ সত্ত্বেও সে গোপনে ছেলেটির সঙ্গে মিলিত হয়েছিল, যার এই পরিণতি। আমি তাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাই এবং তাঁর পরামর্শমতো অ্যাবর্শন করাই। আমি বুঝতে পারছি আমার মেয়ে ভুল পথে পা বাড়িয়েছে, কিন্তু মালির ছেলের সঙ্গে তার সম্পর্ক আমাদের পক্ষে মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। তাকে মারধোর করলেই যে সে শুধরোবে এমন আশাও করি না। কী করব দয়া করে পরামর্শ দিন।

 

আনেক সময় ছেলেমেয়েরা তাদের মা-বাবাকে টেকেন ফর গ্রান্টেড ধরে নেয়৷ মা-বাবারাও আজকাল অতিরিক্ত আদর দেন সন্তানকে৷ এর একটা সামাজিক কারণ আছে৷আগে বড়ো পরিবারে অনেক সন্তানকে মানুষ করতে হতো৷ ফলে খুব সম্পন্ন পরিবার ছাড়া, সন্তানদের প্রতিপালনে একটা আর্থিক অনটন থাকতই৷ একটু কষ্ট করেই সন্তান তার নিজের শখসাধ পূরণ করত৷  এখন ছোটো পরিবারে একটি বা দুটি করে সন্তান৷তারা অতি স্বচ্ছলতায় বড়ো হয়৷ তাই তারা অতিরিক্ত আদর আর প্রশ্রয় পান মা-বাবার কাছ থেকে৷ তারই পরিণাম ভুগতে হয় অভিভাবকদের৷

আপনার ক্ষেত্রেও এটাই ঘটেছে৷ আপনার প্রথমেই সতর্ক হওয়া উচিত ছিল এই সম্পর্কের কথা জানার পর। আপনার স্বামীকে না জানানোটাও আপনার একটি ভুল সিদ্ধান্ত হয়েছে। কারণ আপনার আদরের চেয়েও বেশি মেয়েটির তার বাবার শাসনের প্রয়োজন ছিল। আপনার মেয়ে কী করে আপনি জানাননি। সে পড়ুয়া নাকি কর্মরতা তা জানালে বোঝা যেত সে এত অবসর সময় কী করে পায়, যে এমন একটা সম্পর্কে লিপ্ত হল।

এবার আপনার উচিত আপনার স্বামীকে জানানো। আপনার বাড়িতে ছেলেটির যাতায়াত যাতে তিনি বন্ধ করেন। মেয়েটিকে প্রহার না করে ওকে এনগেজ করার মতো কোনও কাজে নিযুক্ত করুন। কিছুদিন দূরে কোথাও রেখে আসুন যাতে সে এই পরিবেশ থেকে মুক্তি পেতে পারে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সে এই ঘটনাগুলো ভুলতে পারবে। আর এই ভুল শুধরে দেওয়ার এটাই চরম সময়। নয়তো এসময় আপনাদের প্রশ্রয় তাকে আরও বড়ো কুকীর্তির দিকে ঠেলে দিতে পারে।

आगे की कहानी पढ़ने के लिए सब्सक्राइब करें

ডিজিটাল

(1 साल)
USD10
 
সাবস্ক্রাইব করুন

ডিজিটাল + 12 প্রিন্ট ম্যাগাজিন

(1 साल)
USD79
 
সাবস্ক্রাইব করুন
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...