আমার বয়স ৫৮ বছর। কিছুদিন আগে আমার স্পাইনাল স্ট্রোক হয়েছিল। ডাক্তার সার্জারি করাবার পরামর্শ দিয়েছিলেন। আমি জানতে চাই স্পাইনাল স্ট্রোকের জন্য কী কী চিকিৎসা করানো যায়?
স্পাইনাল কর্ড-এ ঠিকমতো রক্ত পৌঁছোতে বাধাপ্রাপ্ত হওয়াকে স্পাইনাল স্ট্রোক বলা হয়। এর ফলে নার্ভ ইমপাল্স পাঠাতে অসুবিধা হয়। এটি একটি গুরুতর সমস্যা এবং এর তাৎক্ষণিক চিকিৎসার প্রয়োজন। ওষুধ ফোলা ভাব দূর করে। রক্ত পাতলা করতে, রক্তচাপ কম করতে এবং কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতে ওষুধ দেওয়া হয়। কিন্তু সমস্যা যদি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় তাহলে সার্জারি করিয়ে নেওয়া জরুরি। মিনিমালি ইনভেসিভ সার্জারির টেকনিক এই সার্জারি পদ্ধতিকে খুব সহজ করে দিয়েছে। নর্মাল সার্জারির থেকে এই সার্জারিতে ঝামেলাও অনেক কম। হাসপাতালেও বেশিদিন থাকার দরকার পড়ে না।
আমার বয়স ৩৪ বছর। বেশ কিছুদিন ধরে স্পন্ডিলাইটিস-এর সমস্যায় খুব ভুগছি। সার্জারি ছাড়া আর কোনও চিকিৎসা করাবার উপায় আছে কি?
আপনার সমস্যা কতটা গুরুতর তার উপরই কী চিকিৎসা করাবেন সেটা নির্ভর করে। হট অ্যান্ড কোল্ড থেরাপি এই ক্ষেত্রে খুবই কার্যকরী। জয়েন্ট পেন, মাসল পেন-এ এতে অনেক আরাম পাওয়া যায়। যেখানে ব্যথা হচ্ছে সেখানে হিটিং প্যাড্স লাগান। হট শাওয়ারও নিতে পারেন। ফোলা ভাব কমাতে, ফুলে ওঠা জায়গায় বরফ ঘষুন। এতে ফোলা এবং ব্যথা দুটোই কমবে। এটা ছাড়াও ব্যথা, ফোলা, স্টিফনেস কম করতে ননস্টেরয়েড অ্যান্টিইনফ্লেমেটারি ড্রাগসও প্রেসক্রাইব করা হয়। ফিজিওথেরাপি এই চিকিৎসার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। বেশিরভাগ স্পন্ডিলাইটিসের রোগীর সার্জারি করাবার দরকার পড়ে না। কিন্তু ব্যথা যদি অসহনীয় অথবা জয়েন্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে গিয়ে থাকে তাহলে সার্জারি করাবার পরামর্শ দিয়ে থাকেন ডাক্তাররা।
ঘাড়ে, কাঁধে প্রায় সবসময়েই ব্যথা করে। আমার এই সমস্যা কেন হচ্ছে? কোন চিকিৎসায় পদ্ধতিতে আমি সুস্থ হতে পারব?
ঘাড়ে, কাঁধে ব্যথা হওয়াকে ডাক্তারি পরিভাষায় সার্ভাইকাল পেন বলা হয়। ঘাড়, কাঁধের সঙ্গে যুক্ত সার্ভাইকাল স্পাইনের জয়েন্ট বা ডিস্ক-এ সমস্যা হলে সার্ভাইকাল পেন হয়। সমস্যা যদি কম হয় তাহলে জীবনশৈলীতে পরিবর্তন এনে সেটা সারিয়ে তোলা যায়। সমস্যা গুরুতর হলে চিকিৎসার প্রয়োজন হয়। যদি ফিজিওথেরাপি এবং ওষুধে সার্ভাইকাল পেন ঠিক না হলে, সার্জারি করাতে হতে পারে। সার্ভাইকাল পেন-এর সমস্যা এড়াতে চাইলে ওঠাবসা, হাঁটা এবং কম্পিউটারে কাজ করার সময় পশ্চার সঠিক রাখা একান্ত দরকার। নিয়মিত এক্সারসাইজ করুন। কান এবং কাঁধের মাঝখানে মোবাইল ফোন রেখে কথা বলবেন না।