প্রিয়জনকে উপহার দেওয়ার মধ্যে আন্তরিকতা থাকাই স্বাভাবিক। কিন্তু মানুষটি কী পছন্দ করেন, কোন উপহার পেলে সবচেয়ে খুশি হবেন— এগুলোও মাথায় রাখা দরকার। সেই সঙ্গে যোগ করুন আপনার নান্দনিক ভাবনার পরশ। তবেই সুন্দর হয়ে উঠবে আপনার সম্পর্ক।
একসময় উপহার মানেই ছিল মিষ্টি এবং জামাকাপড়। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে উপহারেও এসেছে নানা বৈচিত্র্য। সকলেই চান এমন কোনও উপহার দিতে যা দীর্ঘমেয়াদি হবে। অর্থাৎ দীর্ঘদিন ধরে তা নিজের কাছে রেখে দিতে পারবেন প্রাপক। এখন অনলাইন শপিংয়ের রীতি শুরু হয়েছে। ফলে ঘরে বসেই আপনি বহু ধরনের জিনিস বাছাই করতে পারেন। আমাদের কিছু পরামর্শ রইল উপহার চয়ন করার বিষয়ে।
১) কস্টিউম জুয়েলারি খুব ভালো উপহার হতে পারে। বিস, পার্লস বা সেমিপ্রেশাস স্টোন বসানো এই সব হাতের, কানের বা গলায় পরার গয়না আপনার প্রিয়জনের জন্য কিনতে পারেন।
২) হার্বাল প্রসাধনীর উপর এখন অনেকেই নির্ভর করা শুরু করেছেন। রাসায়নিক নেতিবাচক প্রভাব ফেলে ত্বকের ক্ষতি করে। তাই হার্বাল প্রোডাক্ট দিন প্রিয়জনকে। সেটা চুলের শ্যাম্পু সেট বা স্কিন কেয়ার সেট— যে-কোনও কিছুই হতে পারে।
৩) মেডিসিনাল প্লান্টস এবং অর্গ্যানিক ফুড উপহার হিসাবে বেশ ভালো। এতে আপনার প্রিয় মানুষটির স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখাও হবে আবার উৎসবে তাকে সঠিক উপহারও দেওয়া হবে। চাইলে তার রোগ অসুখ অনুযায়ী যা স্বাস্থ্যকর হবে, সেভাবে কাস্টমাইজ করে দিতে পারেনস খাবারের উপকরণগুলি।
৪) পেন্ডেন্ট খুব স্পেশাল গিফট, সরু চেনের সঙ্গে প্রিয় মানুষটির নামাঙ্কিত পেন্ডেন্ট পেলে সে অবশ্যই খুশি হবে। ক্রিস্টালে গাঁথা হার সঙ্গে হার্ট শেপড় পেন্ডেন্টও দিতে পারেন।
৫) আপনাদের একসঙ্গে কাটানো মুহূর্তগুলোর ছবির কোলাজ তৈরি করে উপহার দিতে পারেন। এটি সারাজীবনের সম্বল হয়ে থাকবে। কিংবা প্রিয় মানুষটির কিছু পোর্ট্রেট ছবি তুলে বাঁধিয়ে উপহার দিতে পারেন।
6) ঘর সাজানোর উপহারও কিনতে পারেন তার জন্য। সেন্টেড ক্যান্ডেলস, লাইট স্ট্যান্ড, ডেকোরেটিভ লাইট, ওয়াল হ্যাঙ্গিং প্রভৃতি ভালো উপহার দীপাবলির জন্য।





