আবেগ প্রেমের গোড়ার কথা। কিন্তু এই আবেগই কি আপনার ক্ষতি করছে? আশেপাশে প্রেমের দিন ঘিরে উচ্ছ্বাস দেখে আপনি কি আরও বেশি মানসিক অবসাদের শিকার হয়েছেন? প্রেম ভেঙে যাওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন? প্রেমের আবেগে এক একসময় আমরা ভুল মানুষকে নির্বাচন করে ফেলি। তারপর প্রেম ভেঙে গেলে নিজেকে সামলাতে সামলাতে বহু সময় ব্যয় হয়ে যায়। তাই প্রথমেই বলে রাখা ভালো যে, আবেগকে মাথায় চড়তে দেবেন না।
জীবনের এই পর্যায়ে এসে আপনাকে নিজেই নিজেকে সামলাতে হবে। তাই পুরোনো চোট-জখমের কথা ভেবে নিজেকে ওভারস্ট্রেস করবেন না। আপনি পৃথিবীটাকে বদলাতে পারবেন না। কিন্তু নিজেকে অবশ্যই বদলাতে পারেন। নতুন করে গুছিয়ে নিন জীবনটা। এখানে কিছু সাহায্যের টিপ্স দেওয়া হল।
নিজের প্রতি বিশ্বাস
আপনার প্রেম ভেঙে গেছে মানেই নিজেকে আন্ডার এস্টিমেট করার প্রয়োজন নেই। নিজের যোগ্যতা, সৌন্দর্য ও প্রতিভার ব্যাপারে আপনার আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনুন। মনে করুন, আপনাকে যে অস্বীকার করেছে, সেটা তার অক্ষমতা ছিল, আপনার নয়। এটা ভাবতে শুরু করলেই দেখবেন, আশেপাশে যদি আপনাকে নিয়ে সমালোচনাও হয়, আপনার তাতে কিছুই এসে যাবে না। সবসময় ভাবার চেষ্টা করুন, আপনি স্বতন্ত্র। অন্য কারও সঙ্গেই আপনার তুলনা চলে না।
অবসাদের কারণকে দূরে সরান
এটা আপনার জীবন, আপনারই অধিকার আছে এটার উপর। কারও ছেড়ে চলে যাওয়াতে আপনার চলা থেমে যাবে না, আনন্দে থাকাটা আপনার জন্মগত অধিকার। যে-সমস্ত লোকজন আপনাকে অবসাদের দিকে ঠেলে দিচ্ছে, সচেতন ভাবে তাদের থেকে দূরত্ব বাড়ান। গঠনমূলক সমালোচনা অর্থাৎ হেলদি ক্রিটিসিজম আর তিক্ত অপমানকর শব্দের মধ্যে প্রভেদ বুঝুন। এর ফলে বুঝতে অসুবিধে হবে না, কে আপনাকে প্রকৃত পথ দেখাচ্ছে, আর কুকথা বলে কে আপনার মনোবল ভেঙে দিতে চাইছে। তারপর সচেতন ভাবে সেইসব মানুষকে এড়িয়ে চলুন।
হৃদয়ের কথা বলুন
আবেগ চেপে রাখার ফল খারাপ হতে পারে। তাই লোকে কী বলবে ভেবে, ইমোশন অবদমন করবেন না। কাঁদতে ইচ্ছে করলে, মন হালকা করে কাঁদুন। মনে রাখবেন আপনার ভেঙে যাওয়া সম্পর্কের কারণে কিছু বক্রোক্তি আপনাকে সহ্য করতে হবে। তাই একা থাকলে, কেঁদে ভেতরের কষ্ট দূর করুন। কোনও বিশ্বাসযোগ্য বন্ধু থাকলে তাকে মনের কথা খুলে বলুন। এর ফলে স্ট্রেস, অ্যাংজাইটি দুটোই কমবে। আপনার লেখার অভ্যেস থাকলে মনের কষ্ট লিখেও লাঘব করতে পারেন। আসল উদ্দশ্য হল নিজে্র ভিতরে ব্যথা জমিয়ে রাখবেন না।