এখনকার অভিভাবকেরা সন্তান পালনের ক্ষেত্রে মডার্ন মেথড ফলো করেন। অনেক নতুন নতুন নামে আমরা নতুন প্রজন্মের অভিভাবকদের ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করি। হেলিকপটার পেরেন্টস থেকে পান্ডা পেরেন্টস আরও কতো নাম। মডার্ন মা-বাবারা সন্তানকে বড়ো করে তোলার পুরোনো সব নিময় ছেঁটে বাদ দিযে দিতে চান সেগুলো পুরোনো, মডার্ন যুগে ওই নিয়ম আর চলে না বলে। অথচ সেই পুরোনো নিয়মের অনেকগুলোই আজও সন্তানকে মানুষ করার ক্ষেত্রে যথেষ্ট কার্য‌করী।

 

  • পরিবারের সকলে একসঙ্গে বসে খাওয়াদাওয়া করার অভ্যাস আজ প্রায় সকলেই ভুলতে বসেছে। যে-যার মতো কাজ মিটিযে একা একাই খাওয়া এখন বেশিরভাগ বাড়িতেই দৈনন্দিন রুটিন। দিনের যে-কোনও একটা সময় বেছে নিয়ে পরিবারের সব সদস্যের একসঙ্গে বসে একটা মিল অন্তত খাওয়া উচিত
  • জীবনে ব্যর্থতাকেও গুরুত্ব দেওয়া উচিত। হয়তো রিজেকশন এবং হার সন্তানকে ডিপ্রেসড করতে পারে। কিন্তু এতে সন্তান গভীর ভাবে ভাবতে চেষ্টা করবে কোথায় তার ভুল হয়েছে। আত্ম-বিশ্লেষণ করতে শিখবে বাচ্চা। আমরা অভিভাবকেরা যে-কোনও খারাপ সিচুযেশন থেকে সন্তানকে আড়াল করার চেষ্টা করি। অ্যাডভার্স সিচুযেশন থেকে বাচ্চাকে প্রোটেকশন দেওয়ার চেষ্টা করি। কিন্তু যদি সন্তানকে হারের সম্মুখীন হতে দেন, তাহলে ভবিষ্যতে সে অনেক বেশি ভালো ছাত্র হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবে
  • বাড়ির বাইরে বেরিযে খেলাধুলো করতে প্ররোচিত করুন। এখন বাচ্চারা ইনডোর গেম্স-এই বেশি ইন্টারেস্ট দেখায়। কিন্তু জোর করেই বাচ্চাকে বাড়ির বাইরে খেলতে পাঠান। এতে যেমন শারীরিক শ্রম হবে, তেমনি প্রযোজনীয় টাটকা বাতাসে বাচ্চা নিঃশ্বাস নিতে পারবে
  • বাড়ির জন্য কিছু নিয়ম বলবৎ করুন। বাচ্চাদের স্বাধীনতা দেবার প্রযোজন যেমন আছে তেমনি প্রথম থেকেই বাড়ির কিছু নিয়ম মেনে চলতে শেখান। যেমন খাওয়ার টেবিলে ফোন আনা চলবে না, রাত্রি ৮টার মধ্যে বাড়ি ঢুকতেই হবে ইত্যাদি। এতে বাচ্চারাও বাড়ির নিয়মের গুরুত্ব বুঝতে শিখবে
  • বাচ্চাদের খাওয়া নিয়ে বায়না বরদাস্ত করবেন না। বাচ্চা বায়না করলেই তাকে জাংক ফুড দিতে হবে নয়তো সে খাবে না এই অভ্যাসে তৈরি হতে দেবেন না। হেলদি ফুড খেতে জোর করুন। সপ্তাহে একদিন তাকে নিজের পছন্দের খাবার দিতে পারেন
  • বাচ্চাকে বোঝান, অপরকে অসম্মান করা, মুখের উপর জবাব দেওয়া আপনি কিছুতেই মেনে নেবেন না। ভদ্র এবং বিনীত হতে শেখান সন্তানকে
  • বাচ্চাকে বোঝাতে হবে, ওর সব বায়না আপনারা মেনে নেবেন না। যেটা নিয়ে বায়না সেটা থেকে ওর মন সরিযে দেওয়ার চেষ্টা করুন। এতে বাচ্চাও বুঝতে পারবে কান্নাকাটি করেও আপনাদের ও রাজি করাতে পারবে না। বরং ওকেই মা-বাবার কথা শুনে চলতে হবে।

 

आगे की कहानी पढ़ने के लिए सब्सक्राइब करें

ডিজিটাল

(1 साल)
USD10
 
সাবস্ক্রাইব করুন

ডিজিটাল + 12 প্রিন্ট ম্যাগাজিন

(1 साल)
USD79
 
সাবস্ক্রাইব করুন
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...