কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান জাতীয় শিক্ষানীতিকে একটি 'নলেজ ডকুমেন্ট' বলে অভিহিত করেছেন। এটি একটি ব্যক্তির সর্বাত্মক বিকাশের লক্ষ্যে এবং শিক্ষা তৈরির লক্ষ্যে কাজ করে এবং তা সবার কাছে গ্রহণযোগ্য। তিনি এও দাবি করেছেন যে, ভারত একটি জ্ঞান-ভিত্তিক অর্থনীতির কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে এবং বিশ্ব অর্থনীতিতে ভারতের অবদান উল্লেখযোগ্য। তিনি আরও বলেন, ভারতের একাডেমিক বিশ্বনেতা হওয়ার জন্য একটি সঠিক স্থান নিশ্চিত করতে হবে।
ভারতের শিক্ষার ভবিষ্যৎ তুলে ধরার জন্য ASSOCHAM এক আলোচনা সভার আয়োজন করেছিল। সেই সভায় ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির মতো প্রযুক্তি চালিত পদ্ধতি এবং উদ্যোগের পরিকাঠামো প্রসঙ্গে জাতীয় শিক্ষানীতির ভূমিকা উঠে আসে। অ্যাসোচেম-এর ডিরেক্টর (পূর্ব এবং উত্তর-পূর্ব) পারমিন্ডার জিত কৌর সকলের জন্য শিক্ষাকে নিশ্চিত করার কথা বলেন। প্রাথমিক শিক্ষা আরও গুণমান সম্পন্ন এবং শিক্ষাকে সহজলভ্য করার আশাপ্রকাশ করেন। ভারতবর্ষের বিশাল জনসংখ্যাকে শিক্ষার আওতায় আনার পন্থার কথাও জানান তিনি। আনুষ্ঠানিক শিক্ষাকে আরও শক্তিশালী ও মজবুত করার আবেদনও জানিয়েছেন। মানসম্মত শিক্ষার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি যে, শিক্ষার সফল এবং টেকসই বাস্তবায়নের দৃষ্টিভঙ্গি অবশ্যই আমাদের উদ্দেশ্য সফল করবে।’ AFAIRS-এর প্রতিষ্ঠাতা এমডি সঞ্জীব বোলিয়া জানিয়েছেন, 'আন্তর্জাতিক ছাত্ররা ভারত জুড়ে স্বীকৃত প্রিমিয়ার প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়ন করতে পারে। শিক্ষা মেলা স্টাডি ইন ইন্ডিয়া-র উদ্যোগের সঙ্গে অংশীদারিত্ব করেছে এবং ভারতীয়দের প্রচারে অনুঘটকের কাজ করেছে। এই প্রশংসনীয় উদ্যোগ ভারতীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে সাহায্য করবে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দিতে। অ্যাসোচেম-এর কো-চেয়ারম্যান তারানজিৎ সিং প্রসঙ্গত জানিয়েছেন, ‘শিক্ষাকে বৈশ্বিক মানদণ্ডের সঙ্গে সমান করে তুলতে পারলে সাফল্য আসবে।’
অ্যাসোচেম ন্যাশনাল টাস্ক ফোর্স ফর আর্লি চাইল্ড এডুকেশন-এর চেয়ারম্যান তমাল মুখোপাধ্যায় এই বিষয়ে উল্লেখ করেছেন, ডিজিটাল শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়নের প্রতিটি দিককে কভার করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতির প্রচার করা চলছে। জাতীয় শিক্ষানীতি একটি অনবদ্য উদ্যোগ এবং প্রারম্ভিক শৈশব শিক্ষার পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষাগত উন্নতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর শিক্ষায় বিনিয়োগ নিঃসন্দেহে আমাদের সন্তানদের উন্নত জীবন নিশ্চিত করবে। প্রযুক্তি এবং অটোমেশনের সঙ্গে যতটা ভালোভাবে আমরা সামঞ্জস্য রাখতে পারবো, ততটাই দক্ষতা অর্জন করতে পারবো।’