প্রত্যেক দেশ তার সৈনিকদের জন্য গর্ববোধ করে। তাই তাদের সম্মান এবং আর্থিক সুবিধাও দেওয়া হয়। কিন্তু সারা পৃথিবীর অনেক সৈনিক একটা সুবিধা নিজেরাই নিয়ে নেন। এই সুবিধা হল ধর্ষণের। আর রক্ষকরা ভক্ষক হয়ে উঠলে সাধারণ মানুষ বড়ো অসহায় বোধ করেন। নষ্ট হয় বিশ্বাস এবং ভরসা।

কোয়েমবাটুর-এর এয়ারফোর্স অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ কলেজে আইএএস ফ্লাইট লেফ্টেনেন্ট এবং এক ২৬ বছর বয়সি যুবতি একসঙ্গে ক্লাস করত। এক সন্ধেবেলা মদ্যপান করার পর মেয়েটি কিছুটা বেহুঁশ হয়ে পড়ে। এরপর তাকে কলেজ হোস্টেলের ঘরে নিয়ে গিয়ে ওই তরুণ অফিসার ধর্ষণ করে বলে জানিয়েছেন তরুণী।

বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই ধরনের ধর্ষণের মামলা সাধারণ আদালতে শুরু হলেও, পরে তা সেনা আদালতে স্থানান্তরিত হয়ে যায় কোর্ট মার্শাল হবে বলে। এক্ষেত্রে সুবিচার পাবে না বলে সেনা আদালতে যাওয়ায় আপত্তি জানায় যুবতি। সমস্যা এটাই যে, সেনা নির্ভর দেশ এবং আইন সৈনিকদের বিরাগভাজন হবে না বলে কোনও কঠিন পদক্ষেপ নেয় না।

কোর্ট মার্শাল-এ সেনা অফিসাররাই বিচারকের কাজ করেন। তাঁরা সৈনিকদের কুপ্রবৃত্তির বিষয়টি অনেক সময় বুঝতে পারেন না। তাই মৌখিক প্রতিশ্রুতির উপর ভিত্তি করে বিচার প্রক্রিয়া শেষ করেন। এক্ষেত্রে ক্ষমা করে দেওয়া হয় এই ভেবে যে, ঘর পরিবার ছেড়ে খুব কষ্টের মধ্যে কাজ করেন সৈনিকরা।

এই যদি পরিস্থিতি হয়, তাহলে রেপ ভিক্টিম যে সেনা আদালতে পুরো ন্যায়বিচার পাবে না, এটাই স্বাভাবিক। অবশ্য শুধু সেনা আদালতেই নয়, সিভিল কোর্টেও অনেক সময় ছাড়া পেয়ে যায় রেপিস্ট। তবে সিভিল কোর্টে রেপ কেস-এর আসামি জামিন পায় না এবং আন্ডার ট্রায়াল অনেকদিন বন্দিজীবন কাটাতে হয়, এটাও কম কিছু নয়।

সিভিল কোর্টে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ধর্ষিতা মামলা তুলে নিতে বাধ্য হন। এর প্রধান কারণগুলি হল দীর্ঘ সময় ধরে কেস চলতে থাকা, উকিলের খরচ বহন করতে না পারা এবং এর ফলে পীড়িতার মানসিক অবসাদ প্রভৃতি। তবে বিচারপর্বে যাই ঘটুক না কেন, পার্মানেন্ট ট্যাটুর মতো কালির দাগ পড়ে যায় ধর্ষিতার গায়ে আর রেপিস্ট? তার গায়ে কালির দাগ ততটাই স্থায়ী হয়, ঠিক যতদিন ভোটের কালি আঙুলে থাকে।

आगे की कहानी पढ़ने के लिए सब्सक्राइब करें

ডিজিটাল

(1 साल)
USD10
 
সাবস্ক্রাইব করুন

ডিজিটাল + 12 প্রিন্ট ম্যাগাজিন

(1 साल)
USD79
 
সাবস্ক্রাইব করুন
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...