একটা কথা খুব প্রচলিত আছে যে, সোনা শুধু শৃঙ্গারের জন্যই নয়, বিপদের দিনের জন্য সঞ্চিত পুঁজি হল সোনা। কথাটা একশো ভাগ সত্যি। যখন সরকার অর্থনৈতিক পরিকাঠামো ধসে পড়া নিয়ে নাকাল, অথচ দেশে জোর কলরব চলছে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন, তিন তালাক, ধারা ৩৭০ প্রভৃতি নিয়ে তখন সংসার চালাতে মহিলারা নিজের সোনা বন্ধক রেখে সংসারে অর্থের জোগান স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করেছে। ব্যাংকগুলির সমীক্ষায় দেখা গেছে, সোনা বন্ধক রেখে ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে ৭৭ শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছে।

শুধু তাই নয়, ব্যাংক-এর ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে ধার নেওয়ার পরিমাণ ১০ হাজার কোটির টাকা ছাড়িয়ে গেছে। গ্রাহকদের নেওয়া ঋণের পরিমাণ যাকে রিটেল লোন বলা হয়, তাতে ১০ শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছে। এর তুলনায় উদ্যোগ ও ব্যাবসায়িক ঋণের ক্ষেত্রে মাত্র ২ শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছে।

এটা বস্তুত জলের উপর ভেসে থাকা বরফখণ্ডের মাথাটুকু আমরা দেখতে পাচ্ছি। দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির অনুমান এর থেকে পুরোপুরি করা না গেলেও একটা আন্দাজ অন্তত করা যায় যে, বড়ো অংশটাই রয়েছে জলের নীচে ঢাকা।

দেশের বেশিরভাগ মানুষই টাকা ধার নেন ছোটোখাটো ব্যবসায়ী বা মহাজনদের থেকে। এরা সাধারণত ব্যাংক-এর চেয়ে অনেক চড়া সুদ উশুল করে থাকেন। এদের কাছে সোনা রাখাটা ঝুঁকিপূর্ণ বুঝে মহিলারা এখন কাগজে মুথুট গোল্ড লোন বা মণপুরম ফাইন্যান্স-এর বিজ্ঞাপন দেখে নির্ভয়ে সোনা বন্ধক রাখেন।

রিজার্ভ ব্যাংক-এর একটি সূত্র অনুযায়ী ৬০০ কোটি টাকার সমতুল্য সোনা এখন ব্যাংক-এর কাছে আছে, যা ২০২০ সালের জানুয়ারিতে ছিল ১৮৫ কোটি টাকার সমপরিমাণ। এটা দেশের প্রগতির পথে ইতিবাচক সংকেত দেয়। মহিলারা ঘরের সোনা দিয়ে সংসারে খাবারের যোগান সক্রিয় রেখেছেন, বা রোগীর চিকিত্সা করিয়েছেন। এদিকে সরকার তার অর্থ অপচয় করেছে মন্দির, মঠ নির্মাণে যার এই দুঃসময়ে কোনও প্রয়োজনই নেই।

সোনা শৃঙ্গারের চেয়ে বেশি মূল্যবান জীবন নির্বাহের জন্য। যে-মহিলারা সংসার চালিয়েছেন ঘরের সোনা দিয়ে, তারাই প্রকৃতার্থে দেশ গঠনের যোগ্য। সেই মহিলাদের উপর অত্যাচার শুধু তালিবানি ‌নির্যাতনের বা বুলেটের মাধ্যমেই নয়, রান্নার গ্যাস আর ভোজ্য তেলের দাম বাড়িয়ে করা যায় তা প্রমাণ করেছে আমাদের সরকার।

आगे की कहानी पढ़ने के लिए सब्सक्राइब करें

ডিজিটাল

(1 साल)
USD10
 
সাবস্ক্রাইব করুন

ডিজিটাল + 12 প্রিন্ট ম্যাগাজিন

(1 साल)
USD79
 
সাবস্ক্রাইব করুন
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...