স্ট্যাম্প ডিউটি কোনও এক ঐতিহাসিক কালে সম্পত্তি রেজিস্ট্রেশনের খরচ হিসাবে ধার্য করা হতো। ব্রিটিশ সরকার, সম্পত্তির মালিকানা-কে স্বীকৃত করতে এবং অর্থের লেনদেনের বিষয়টিকে বৈধতা দিতে স্ট্যাম্প ডিউটির ব্যবস্থা করেছিল। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সরকারি খাতায় এটা একপ্রকার ট্যাক্স-এরই নামান্তর হয়ে দাঁড়িয়েছে। আপনি যে-মুহূর্তে কোনও প্রকার সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয় করতে যাবেন, সঙ্গে সঙ্গে সরকার ঝাঁপিয়ে পড়বে আপনার থেকে এ বাবদ ৮ থেকে ১২ শতাংশ পর্যন্ত কর উশুল করতে। কিছু রাজ্যে তো পরিবারের মধ্যেও সম্পত্তি হস্তান্তরিত করতে হলে ভারী স্ট্যাম্প ডিউটি বহন করতে হয়। ঝামেলা এড়াতে লোকে এখন পাওয়ার অফ অ্যাটর্নি প্রয়োগ করে সম্পত্তি বিক্রির পথ নিয়েছে।

বহু বিরোধিতার পর এখন কিছু রাজ্যের সরকারের বোধগম্য হয়েছে যে, এই অন্যায্য কর উশুল করা এক প্রকার মাফিয়াগিরির দৃষ্টান্ত। মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, হরিয়ানা ও উত্তরপ্রদেশের মতো রাজ্যগুলিতে এখন সম্পত্তির হস্তান্তর যদি পরিবারের মধ্যে হয়, তাহলে সেখানে নামমাত্র শুল্ক প্রযোগ করা হয়। এর ফলে সম্পত্তির বিলিবন্টন এখন অনেকটাই সহজ হয়ে গিয়েছে ওইসব রাজ্যে।

বস্তুত সম্পত্তি বেচাকেনার বিষয়টি, যে-কোনও জিনিস কেনা বা বিক্রি করার মতোই সহজ হওয়া উচিত। তা না করে প্রতি লেনদেনে মোটা ট্যাক্স দিতে হলে, তা মধ্যবিত্তের উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দাঁড়ায়। মানুষ তাই চেষ্টা করে যাতে কোনও না কোনও উপায়ে এই খরচটা এড়ানো যায়। ব্ল্যাক মানি-র উদ্ভব তো এই কর ফাঁকি দেওয়ার ইচ্ছা থেকেই তৈরি হয়েছে। স্ট্যাম্প ডিউটির বোঝা এড়াতেও তাই মানুষকে অসাধু পথ বাছতে হচ্ছে। কে আর বাজে কারণে অর্থের অপচয় চায়!

সম্পত্তি মানুষ তখনই বিক্রি করার কথা ভাবেন, যখন তিনি আর্থিক সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন। ফলে সেই সময় অর্থের অপচয় না করাটাই তার পক্ষে স্বাভাবিক। সরকার যদি এভাবে ট্যাক্স-এর মাকড়সার জাল বিস্তার করে থাকে, তাতে স্বাভাবিক ভাবেই পা দিতে নারাজ হবে সাধারণ মানুষ।

आगे की कहानी पढ़ने के लिए सब्सक्राइब करें

ডিজিটাল

(1 साल)
USD10
 
সাবস্ক্রাইব করুন

ডিজিটাল + 12 প্রিন্ট ম্যাগাজিন

(1 साल)
USD79
 
সাবস্ক্রাইব করুন
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...