কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে ৩৩ শতাংশ সিট বিধানসভা ও লোকসভায় মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে, ইতিমধ্যেই এমন প্রতিশ্রুতি পেয়ে গেছে সাধারণ মানুষ। ওদিকে, ওড়িশায় নবীন পট্টনায়ক এবং পশ্চিমবাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৩৩ শতাংশের বেশি আসনে মহিলাদের প্রতিদ্বন্দ্বী করেছেন। এর থেকে একটা ছবি পরিষ্কার যে, রাজনীতিতে মহিলারা আরও বড়ো আকারে যোগদান করতে চলেছেন। পিতা, স্বামী বা সন্তান যার সাহায্যেই হোক না কেন, মহিলারা যদি রাজনীতির ক্ষেত্রে পদার্পণ করেন, এটা নিঃসন্দেহে একটা বিরাট সামাজিক পরিবর্তন।

আধুনিক চিন্তা আর শিক্ষার ১৫০ বছর অতিক্রান্ত, তবু বৃহত্তর ক্ষেত্রে মহিলাদের অবস্থার কোনও পরিবর্তন নেই। পরিবারে এখনও তার কথার তেমন কোনও মূল্য নেই। সংসারের জন্য শ্রমদান করাটাই তার জীবনের উদ্দেশ্য। আনন্দ বলতে কিটি পার্টি বা আশ্রমের মধ্যে ধর্মীয় সমাবেশে যোগদান। আর যে-মহিলারা এসব থেকে বেরিয়ে এসে কিছু করেনও, তাদের ভেতরে একটা গোপন অপরাধবোধ থেকেই যায়– পরিবারকে পুরোপুরি সময় না দিতে পারার অক্ষমতা। সাফল্যের অনুভূতি যতই মনোরম হোক, সেটা পাওয়ার জন্য আত্মত্যাগের কষ্টটাও কম নয়।

রাজনীতি পরিবর্তন আনার ক্ষমতা রাখে। এর দ্বারা সমাজের বৃহত্তর অংশে এই বার্তা অন্তত পৌঁছোবে যে, মহিলারা সত্যিই পিছিয়ে নেই। মহিলারা যদি কোনও সিদ্ধান্ত নেন তা হয় তাঁর নিজস্ব বিচারবুদ্ধি নির্ভর। পুরুষের তৈরি করে দেওয়া নীতির অনুকূলে নাও হতে পারে। কারণ মহিলারা যখন সিদ্ধান্ত নেন, তার পেছনে থাকে বছরের পর বছর শোষিত হওয়ার ইতিহাস, নারী-পুরুষে ভেদাভেদ করার কারণ ও নিজের সংকোচ ঝেড়ে ফেলার নিঃশব্দ পদক্ষেপ।

আসলে আমরা মহিলাদের সেই সুযোগ থেকে বরাবর বঞ্চিত করে এসেছি, যার দ্বারা তারা সংসারের বড়োসড়ো সিদ্ধান্তগুলি সঙ্গত ভাবে নিতে পারে। তার ক্ষমতা পরখ করার আগেই তা অগ্রাহ্য করে এসেছি।

ইন্দিরা গান্ধি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, জয়ললিতা, মায়াবতী, সোনিয়া গান্ধি-রা যখন সুযোগ পেয়েছেন, তারা নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করে দেখিয়েছেন। পুরুষরাও তাদের বাহবা দিয়েছেন। কে বলতে পারে, এমন দিন হয়তো আর বেশি দূরে নয়– যেদিন মহিলারাই সংখ্যাগরিষ্ঠ ভাবে নানাক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন করবেন এবং পুরুষদের তরফে আসন সংরক্ষণের দাবি উঠবে।

आगे की कहानी पढ़ने के लिए सब्सक्राइब करें

ডিজিটাল

(1 साल)
USD10
 
সাবস্ক্রাইব করুন

ডিজিটাল + 12 প্রিন্ট ম্যাগাজিন

(1 साल)
USD79
 
সাবস্ক্রাইব করুন
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...