খুব বেশি দিন আগের কথা নয়৷ এক উনিশ বছরের তরুণীর প্রাণহানি আপাতদৃষ্টিতে হয়তো ছোটো ঘটনা। এমন প্রাণহানির ঘটনা হয়তো প্রতিবছর কয়েক হাজার ঘটে সারা দেশে। উত্তরপ্রদেশের এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে আত্মীয়ের বাড়ি যাওয়ার পথে মোটরবাইক থেকে পড়ে মারা গিয়েছিল মেয়েটি। মারা যাওয়ার কারণও হয়তো খুবই সাধারণ বিষয় মনে করতে পারেন কেউ কেউ।

যে-অঞ্চলে ওই ঘটনা ঘটেছিল, ওখানে অনেকের ধারণা আছে যে, কোনও ছেলের মোটর বাইকের পিছনে কোনও মেয়ে বসে যাওয়া মানে তারা প্রেমিক-প্রেমিকা এবং সেই বাইক আরোহী মেয়েটির শ্লীলতাহানি করার মৌলিক অধিকার আছে অন্য যুবকের। আর এই প্রচলিত ধ্যানধারণার কারণেই দুই যুবক মেয়েটির উপর নির্যাতন করতে থাকে। যার পরিণতিতে বাইক থেকে ছিটকে পড়ে দুর্ঘটনায় প্রাণ গিয়েছিল মেয়েটির।

সম্মান বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ যাওয়া ওই মেয়েটিরও বড়ো স্বপ্ন ছিল। সেই অখ্যাত গ্রামের মেয়েটিও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে ৯৯ শতাংশ নম্বর পেয়ে স্কলারশিপ-এর টাকায় আমেরিকার এক কলেজে পড়াশোনা করার সুযোগ করে নিয়েছিল। কিন্তু, দুই মানুষরূপী জানোয়ারের জন্য তার সমস্ত লড়াই থেমে গিয়েছিল অকালে, মর্মান্তিক ভাবে।

এই অপরাধীরা অকুতোভয় থাকার কারণ, এরা কোনও প্রভাবশালীর ছত্রছায়ায় থাকে সর্বদা। পুলিশও এদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে চলে কিংবা চলতে বাধ্য হয়। সবচেয়ে বড়ো বিষয় হল এই যে, ধর্মের ধ্বজাধারী এই সমাজবিরোধীরা মাথা দুলিয়ে ভক্তিসংগীত শুনলেও, ভক্তি এবং ধর্মের বিন্দুবিসর্গও জানে না।

আসলে এদের কাছে ধর্ম মানে হিংসা। ধর্ম যদি সত্যিই অহিংস হতো, যদি সুশিক্ষা দিত, তাহলে পুলিশের প্রয়োজন কমত। কিন্তু তবুও নিরীহ সাধারণ মানুষ ভয়ে ধর্ম ধর্ম করেন। সাধারণ বাড়ির মেয়েরা ছোটো থেকেই আত্মরক্ষার পদ্ধতি না শিখে, শেখে ধর্মকর্মে মন দিতে৷ ধর্মের কার্যকারিতা নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুললে, তার মুখ বন্ধ করার চেষ্টা করা হয়৷বিপদের দিনে সেই পূজাপাঠ কাজে আসবে কিনা তা নিয়ে কেউ প্রশ্ন তোলে না৷ এটাই হয়তো স্বাভাবিক। কিন্তু সেই ধর্মই যদি কাজে না লাগল তাহলে এই অরক্ষিত মেয়েদের সুরক্ষা দেবে কে? রাষ্ট্রের বিফল হওয়া আজ আর গোপন থাকছে না৷

आगे की कहानी पढ़ने के लिए सब्सक्राइब करें

ডিজিটাল

(1 साल)
USD10
 
সাবস্ক্রাইব করুন

ডিজিটাল + 12 প্রিন্ট ম্যাগাজিন

(1 साल)
USD79
 
সাবস্ক্রাইব করুন
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...