আজকাল শহরে মহিলা-পার্টির বেশ একটা চল হয়েছে। পার্টির নামে এর বাড়ি-তার বাড়িতে দশ-বারোজন একত্রিত হও, আর জমিয়ে পিএনপিসি চালিয়ে যাও। এতে শরীর স্বাস্থ্য দুই-ই নাকি ভালো থাকে। এরকমই এক সান্ধ্যপার্টিতে যাওয়ার জন্য এস্টেট-এর মহিলামণ্ডলী সবেমাত্র বড়ো গেটের সামনে জড়ো হয়েছে। সেখান থেকেই তারা একত্রিত হয়ে পার্টির উদ্দেশ্যে রওনা দেবে। এমন সময় পিউ আর তার মাকে পাশের রাস্তা দিয়ে যেতে দেখে, মহিলামণ্ডলীর-ই এক সদস্যা রীতা বেশ চেঁচিয়েই বলে উঠল, ‘আরে দ্যাখ দ্যাখ, সুন্দরীকে দ্যাখ! রোজ নিত্যনতুন পোশাক পরে পাড়ায় প্রজাপতির মতো উড়ে বেড়াচ্ছে।’

মহিলামণ্ডলীর আর এক সদস্যা শ্বেতা একপ্রকার কথা কেড়ে নিয়ে উঠে বলে, ‘আরে ধুর শুধু মেয়ে কেন? মাকে দ্যাখো না। আপাদমস্তক পরিবর্তনের ঝড়। বছর চারেক আগেও যে পাড়ার লোকের জামাকাপড় সেলাই করে কোনওমতে একবেলার অন্নের সংস্থান করত, আজ তার পরনে ব্যাঙ্গালোর সিল্ক। ভাবা যায়! ভগবান জানে কোথা থেকে এত টাকাপয়সা এল এদের হাতে !’

‘আরে বাবা, যা একখানা মালদার পার্টি ধরেছে না! বাপ-কাকার বয়সি বিবাহিত পুরুষ হলে কী হবে, অঢেল টাকার মালিক তো বটে। অবশ্য এর জন্য কুমারজিকে পুরোপুরি দোষ দেওয়া যায় না। সবসময় কোনও মেয়ে যদি ঢলে ঢলে গায়ে পড়ে তাহলে সে-ই বা কী করে। আখেরে সেও তো পুরুষই।’ প্রত্যুত্তরে রীমা বেশ রসিয়ে রসিয়ে কথাগুলি বলছিল।

কথাগুলি শুনতে শুনতে আর-এক সদস্যা বেশ আশ্চর্য হয়েই রীমাকে প্রশ্ন করল, ‘তুই কি আমাদের কুমারজির কথা বলছিস? মেইন রোডের ওধারেই যার বাড়ি? যার দুই ছেলে? এক ছেলের নাম সোহম?’

‘হ্যাঁ হ্যাঁ, ওনার কথাই বলছি। জয়পুরে যাদের প্রচুর সম্পত্তি আছে৷ ভদ্রলোকের স্ত্রী ভীষণ শান্ত স্বভাবের। তার সরলতার সুযোগ নিয়েই এই মেয়েটি যথেচ্ছাচার করছে। এমন অঙ্গভঙ্গি করে যে হিরোইনরাও মাত হয়ে যাবে তার কাছে। বাপরে বাপ, বাপের জন্মে এইরকম মেয়ে দেখিনি।’ সুর টেনে টেনে বলতে থাকে রীমা।

आगे की कहानी पढ़ने के लिए सब्सक्राइब करें

ডিজিটাল

(1 साल)
USD10
 
সাবস্ক্রাইব করুন

ডিজিটাল + 12 প্রিন্ট ম্যাগাজিন

(1 साल)
USD79
 
সাবস্ক্রাইব করুন
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...