ব্যাংকক-পাটায়া ঘুরে আসার পর মনে সুখ নেই রাতুলের, রীতিমতো দমে আছে সে। ফুটবলের মাঠে চার-পাঁচজনকে কাটিয়ে অনবদ্য শটে গোল করার পর মাঠভর্তি দর্শক যদি হাততালি না দেয় তাহলে ফুটবলারের যে-অবস্থা হয়, রাতুলের অবস্থা তার চেয়ে কম করুণ নয়।

তবে দুঃখ থাকলে দুঃখ থেকে বেরোনোর পথও আছে। সেই উদ্দেশ্যেই সে দুপুরে একটু রেস্ট নিয়ে বৈশাখীকে নিয়ে বেরিয়ে পড়েছে সমীরণদার বাড়ির উদ্দেশে। রাতুল দু’শোভাগ নিশ্চিত, কেউ হাততালি না দিলেও এই একটা লোক হাততালি দেবেই দেবে, তার দুঃখ ভুলিয়ে দেবে। সমীরণদা তার বাল্যজীবনের আইডল, ভ্রমণের আনন্দ কী সমীরণদাই তাকে প্রথম শিখিয়েছিল, তার চোখ খুলিয়েছিল।

রাতুল আর বৈশাখী দু’জনেই আইটি ফার্মে কাজ করে, সকালে নাকেমুখে গুঁজে একসঙ্গে বেরিয়ে যায়, ফিরতে ফিরতে রাত ন’টা-সাড়ে ন’টা, কাজের চাপ থাকলে কখনও কখনও তারও পর। ফলে ছুটির দিনগুলোয় বাড়ি থেকে নড়তেই ইচ্ছে করে না বৈশাখীর। সে আসতেই চাইছিল না, রাতুল এক রকম জোর করেই এনেছে তাকে, তাই মুখ সামান্য ভার তার।

রাতুল আর বৈশাখীর অফিস একই বিল্ডিংয়েই, ফ্লোরটাই শুধু যা আলাদা। বছর তিন আগে তাদের পরিচয়ের গাড়ি স্টার্ট নিয়ে সম্প্রতি বিয়ের স্টেশন পর্যন্ত পেৌঁছেছে। ব্যাংকক-পাটায়াতে তারা হানিমুন ট্রিপেই গিয়েছিল। ভ্রমণের যদি গ্রেড করতে হয়, ফরেন টুর বলে এটাকে এ গ্রেডের টুরের তকমা লাগাতেই হয়। এ গ্রেডের টুর রাতুলের জীবনে এই প্রথম। এখনও তার হ্যাংওভার কাটছে না, চোখের সামনে বেড়ানোর পর পর ছবিগুলো ভেসে যাচ্ছে, কিন্তু কাউকে শেয়ার করতে পারছে না। কোনও মানে হয়?

‘আরে মুড অফ কেন বৈশাখী? বি জোভিয়াল।’ ট্যাক্সিতে উঠে রাতুল চাগানোর চেষ্টা করল বৈশাখীকে, ‘সমীরণদার সঙ্গে তোমার তো পরিচয় নেই, আজ দেখবে কী মজার মানুষ। বিয়ের পর বউকে প্রেগন্যান্ট অবস্থায় অযোধ্যাপাহাড়ে বারো কিলোমিটার দৌড় করিয়েছিল।’

বৈশাখী সচকিত হল, ‘অ্যাঁ!’

‘হুঁ, কুলির পেছন পেছন। বউদির ভয় হচ্ছিল, কুলি যদি মাল নিয়ে পালায়।’

आगे की कहानी पढ़ने के लिए सब्सक्राइब करें

ডিজিটাল

(1 साल)
USD10
 
সাবস্ক্রাইব করুন

ডিজিটাল + 12 প্রিন্ট ম্যাগাজিন

(1 साल)
USD79
 
সাবস্ক্রাইব করুন
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...