নাইলনের সুতোর শেষ প্রান্তে বঁড়শি গিলে আটকে আছে মাছটা। ধড়ে এখনও প্রাণও আছে অবশিষ্ট। মাঝেমধ্যে ঝটপট করে উঠে সেকথা জানানও দিচ্ছে। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হল, এমন প্রজাতির মাছ অতুল কাঞ্জিলাল আগে কখনও দেখেননি, শুনেছেন বলেও তিনি মনে করতে পারলেন না। বিশ্বাসদের এই পুকুরে তিনি মাছ ধরছেন তা প্রায় সাত বছর হল।

বর্ষার ঋতুতে অন্তত দিন দশেক তাঁর মাছ ধরা বরাদ্দ। আজ সেই বাৎসরিক নিয়মেরই তৃতীয় দিন। এর আগে তাঁর ছিপে উঠেছে তেলাপিয়া, কই, চারাপোনার মতো সাধারণ মাছ। একবার একটা কেজি দুয়েকের রুইও উঠেছিল। ব্যস, ওই পর্যন্তই। এগুলি ছাড়া অন্য কোনও মাছ এই পুকুরে যে আদতেই থাকতে পারে, তা অন্তত অতুলবাবুর জানা ছিল না। আজ যে-মাছটা ধরা পড়েছে, তা অতুলবাবুর সমস্ত পূর্ব অভিজ্ঞতাকে ধূলিসাৎ করে দিয়েছে।

বঁড়শি থেকে মাছটা সাবধানে ছাড়িয়ে নিয়ে বেশ যত্ন করে উলটে পালটে দেখতে লাগলেন অতুলবাবু। মাছটার দৈর্ঘ্য আন্দাজ পাঁচ ইঞ্চি এবং ওজন একশো গ্রাম হলেও আশ্চর্যের কিছু নয়। রুপোলি শরীরের উপর মাথা থেকে লেজ পর্যন্ত উজ্জ্বল সোনালি বর্ণের উলম্ব রেখা মাছটাকে এক ঈর্ষণীয় সৌন্দর‌্যের অধিকারী করেছে। চোখ দুটি উজ্জ্বল হলুদ। প্রায় চল্লিশ মিনিট ছিপ ফেলে অপেক্ষা করার পর এই মাছটা উঠে এসেছে। এক কথায় যাকে বলে প্রাইজড পজেশন।

মাছ ধরা ব্যাপারটা যে সম্পূর্ণরূপে ধৈর্য এবং সংযমের উপর নির্ভরশীল তা অতুলবাবু বিলক্ষণ জানেন। কিন্তু এখন তাঁর মধ্যে এই দুটোর অভাব তীব্র হয়ে উঠেছে এবং তার কারণ যে ওই অদ্ভুত দর্শন মাছটা, সেটি বুঝতে অতুলবাবুর বাকি রইল না। অগত্যা তিনি উঠে পড়লেন। উদ্দেশ্য একটাই, মাছটাকে জীবিতবস্থায় বাড়ি নিয়ে ফিরতে হবে।

একটি ইটপাতা গলি পথে তিনটি বাঁক পেরিয়ে বাড়ি পৌঁছোতে অতুলবাবুর সময় লাগে ঠিক সাত মিনিট। আজ কিন্তু সময় লাগল আরও এক মিনিট কম। সদর দরজায় কলিং বেল চাপতেই পরিচারক পরিমল এসে দরজা খুলে দিয়ে অবাক সুরে প্রশ্ন করল, ‘বাবু, আজ এত তাড়াতাড়ি চলে এলেন যে? বড়ো কোনও মাছ পেয়েছেন বুঝি?’

आगे की कहानी पढ़ने के लिए सब्सक्राइब करें

ডিজিটাল

(1 साल)
USD10
 
সাবস্ক্রাইব করুন

ডিজিটাল + 12 প্রিন্ট ম্যাগাজিন

(1 साल)
USD79
 
সাবস্ক্রাইব করুন
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...