আত্মীয়স্বজনবিহীন সুদূর দিল্লি শহরে আহিরের এখন দাদা-বউদিই একমাত্র ভরসা। অনাত্মীয় হয়েও তাঁরা আত্মীয় সম। তাঁরা আহিরের স্থানীয় অভিভাবকে পরিণত হয়ে গিয়েছেন। আগের মতো এখন আর নিজেকে তেমন নিঃসঙ্গ বলে মনে হয় না। অফিসের সহকর্মীরা পর্যন্ত জেনে গিয়েছে যে, দিল্লি শহরে সে বাঁধা পড়ে আছে এক নিবিড় সম্পর্ক সূত্রে। তাঁরা নিকট আত্মীয় না হলেও পর নয়।

অফিসের কাজে আহিরকে মাঝেমধ্যেই বাইরে যেতে হয়। হঠাৎ করে বাইরে চলে যাওয়ায় আহির বেশ কিছুদিন যাবৎ দাদা-বউদির খোঁজ নিতে পারেনি। তাই ক'দিন ধরেই সে তার দাদা-বউদির কথা ভাবছিল। আবার কাজের শেষে নিজের আস্তানায় ফিরে এসে যাব যাব করেও যাওয়া হয়ে উঠছিল না।

আসল কথা একার সংসারে দৈনন্দিন কাজের চাপে ছুটির দিনগুলি সে কোনওমতেই হাতছাড়া করতে চাইছিল না। কিন্তু মন বলছিল, হয়তো এতদিনের অদর্শনে দাদা-বউদি উভয়ে নিশ্চয়ই তার উপর পাহাড়প্রমাণ অভিমান নিয়ে অপেক্ষায় বসে আছেন। দেখা হলে কীভাবে নিজের স্বপক্ষে যুক্তিগুলো একে একে পরিবেশন করবে, তারই মহড়া দিচ্ছিল সে মনে মনে। বলতে গিয়ে একটি কথাও যেন অসাবধানতাবশত বাদ না পড়ে। এরপর একটি অখ্যাত ছুটির দিনে সে স্থির করল, সেদিন তার যত কাজই থাকুক না কেন, তাকে সেখানে গিয়ে উপস্থিত হতেই হবে। ইতিমধ্যে দীর্ঘ তিনমাস অতিবাহিত হয়ে গিয়েছে। এটা শুধু দাদা-বউদির নির্দেশ নয়, হুকুম।

আহির বড়ো বড়ো পা ফেলে বাসস্ট্যান্ডের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল। দিনটি যদিও সোমবার, কিন্তু তার ছুটির দিন। সে নির্বিকার। কারণ সে জানে একবার বউদিমণির দরবারে গিয়ে পৌঁছোতে পারলে সব ভাবনার ইতি। উদরের নাম দামোদরের যাবতীয় ভরণ- পোষণের দায়িত্ব তখন বউদিমণির এক্তিয়ারে। এই ব্যাপারে নিজেকে সে অতিশয় ভাগ্যবান বলে মনে করে। কিন্তু সেদিন আহিরের আগমনে বউদিমণি দরজা খুলতেই তাঁর অপ্রত্যাশিত শুষ্ক পাণ্ডুর মুখের দিকে তাকিয়ে আহির ভূত দেখার মতো হতচকিত হয়ে যায়।

आगे की कहानी पढ़ने के लिए सब्सक्राइब करें

ডিজিটাল

(1 साल)
USD10
 
সাবস্ক্রাইব করুন

ডিজিটাল + 12 প্রিন্ট ম্যাগাজিন

(1 साल)
USD79
 
সাবস্ক্রাইব করুন
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...