তাহলে পাথরগুলো গেল কোথায়! আর ওই মেয়েটি, কী যেন নাম— হ্যাঁ, মধুলতা, দ্যাখো হয়তো সেই টাকার লোভে.... ঠিক এইসময় টেলিফোনটা বেজে উঠতেই আমার কথার তাল কেটে গেল। রিসিভারটা কানে ধরে প্রায় আধ মিনিটে সর্বসাকুল্যে তিনটি শব্দ ব্যয় করল কমলাক্ষ — ‘আচ্ছা’, ‘বেশ’, ‘বুঝলাম’। কিন্তু এই কথোপকথনের কিছুই আমার বোধগম্য হল না। ফোনটা রাখার পর থেকেই কমলাক্ষ যেন চিন্তার সাগরে ডুব দিল। আমি জানি, কমলাক্ষের এই মৌনতা রহস্যের যবনিকা উন্মোচিত না হওয়া পর্যন্ত চলবে। এমন জটিল মুহূর্তগুলিতে কমলাক্ষ একাকিত্ব পছন্দ করে। প্রশ্ন খরস্রোতা নদীর মতো ধেয়ে চলেছে মনজুড়ে কিন্তু মৌনতার বাঁধ দিয়ে তার গতি রুদ্ধ করা ছাড়া উপায় নেই। অগত্যা আমি মনোনিবেশ করলাম রবীন্দ্রনাথের ‘নৌকিডুবি-তে’।

রাতের খাওয়া শেষ হয়েছে কিছুক্ষণ আগে। কমলাক্ষ একটি সিগারেট ধরিয়ে বসেছে। রাতে খাবার পরে আমার আবার একটি পান না হলে চলে না।

একটা বড়ো করে হাই তুলতে তুলতে আমি বললাম, 'বাড়িতে একটা কিছু পুষলে কেমন হয় বলো তো? তুমি যখন থাকো না, বা এমন ধ্যানমগ্ন মুনির রূপ ধারণ করো তখন অন্তত একটা সঙ্গি পাওয়া যাবে।'

—সারমেয়?

—না না, ওতে অনেক হ্যাপা। এই ধর যদি একটা অ্যাকোয়ারিয়াম আনা যায়, বেশি বড়ো নয়— ওয়ান ফুট বাই ওয়ান ফুট, খান পাঁচেক গোল্ড ফিশ....

—কী বললে বিনয়, অ্যাকোয়ারিয়াম ? সাব্বাস! একটা সম্ভবনাময় সূত্র তুমি আমার হাতে তুলে দিয়েছ, কমলাক্ষ উচ্ছসিত কণ্ঠে কথাগুলি বলে উঠল। তার শরীর এখন আরাম কেদারায় সোজা হয়ে বসেছে।

হতভম্বতা আমার মুখমন্ডলে এমন ভাবে প্রকট হয়ে উঠেছিল যে তা দেখে কমলাক্ষ হেসে বলল, “আমার বিশ্বাস, চুনি, পান্না আর পোখরাজ এখনও মনোময়বাবুর বাড়ি-ছাড়া হয়নি। তবে দিনের আলো ফুটলে কী হবে তা আমার জানা নেই, তাই যা করতে হবে আজ রাতেই। কথাটায় যে প্রচ্ছন্ন ইঙ্গিত আছে তা বুঝতে আমার বাকি রইল না। তবে আমার আক্ষেপ একটিই, এই সমস্ত রোমাঞ্চকর মুহূর্তের সাক্ষী হওয়ার সৌভাগ্য আমার একটিবারও হয়নি। সমস্ত ঝুঁকিপূর্ণ কাজের দায়িত্ব কমলাক্ষ একাই নিজের কাঁধে তুলে নেয়। আমি প্রতিবাদ করলে সে বলে, ‘সমাজে মগজের চেয়েও কলমের প্রয়োজন অনেক বেশি।”

आगे की कहानी पढ़ने के लिए सब्सक्राइब करें

ডিজিটাল

(1 साल)
USD10
 
সাবস্ক্রাইব করুন

ডিজিটাল + 12 প্রিন্ট ম্যাগাজিন

(1 साल)
USD79
 
সাবস্ক্রাইব করুন
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...