এক

চিনতে কততি হবে না। মাস তিনেক আমি সামলে নেবানে। তিন মাস বেশ লম্বা টাইম। তদ্দিনে মরা বাপ-মাকেই লোকে ভুলি যায়। আর পুলিশ তো পরের দিনই দেকতি পায় না, চোখ উলটি দেয়। না হলি এত এত মরা মর্গ জুড়ে পড়ি থাকে! বড়োবাবু ছমাস পর্যন্ত রাকেন, তারপর একসাথে জড়ো করি জ্বালায় দেন।

বিশে এক লপ্তে অনেকখানি কথা বলে ফেলে হেলেপড়া বটতলায় বসে আবার একখানা বিড়ি ধরাতে চেয়ে হাত পাতল। দুপুর বেশ খরখরে। সকালে দুটো বডি বেরিয়েছে। পার্টি তাগড়াই ছিল। নেবার কালে পাঁচশো করে দিয়েছে। কিন্তু আজ আর একটা দুটো পাঁচশোর পাতি হলে ভালো হয়। আজ রাতে ঝুমরোর ডাক আছে। সেই চেতলার ব্রিজের তলায় হনুমান মন্দিরের পাশের বস্তিতে যেতে হবে। সে কবে থেকে একখান ট্যাঁকে গোঁজা ফোনের কথা কচ্ছে কিন্তু কিছুতেই জুত করতে পারছে না বিশে। তার মনে হচ্ছে, হয়ে যাবেনে আজ। আর নেপাদা শুধুমুধু তো কথা খসাচ্ছে না। সে-ও খানিক অ্যাডভ্যান্স দেবেনে মনে হয়। হাজার দুয়েক হলি আর দেখতি হবে না। আজই ঝাক্কাস একখান ফোন হাতে দাঁড়ালে ওই শাপলার নালের মতো সুন্দরী তারে বুকে টানে নিতি বেশি ভাববে নানে।

বিশে, তুই বলছিস যখন, কাজটায় এগোই। কী বলিস?

সত্যি সত্যি ভাবনা মিলে যাচ্ছে বিশের। নেপাদার হাতে নতুন দু’হাজার টাকার পাতি। ছোঁ দিয়ে তুলে নিতে নিতে বলল, তুমি চিনতে কোরো নাকো। তোমাকে এখানে আমি ঠিক নুইক্কে রাখব। তোমার বাপটা থানায় ডাইরি করবে আনে। ব্যস, কাম ফতে!

পুলিশের কাছে মিসিং ডায়েরি করার পর তো আমার কাম ফতে হবে রে বিশে ! পুলিশ হাত ধুয়ে মার পেছনে পড়ে যাবে৷আমার মোবাইল ট্র্যাক করবে৷শ্মশানঘাটের চুল্লির ভেতর থেকেও টেনে নিয়ে চলে আসবে৷

কী ছেরাদ্দর কতা কইছ ন্যাপাদা! পুলিশের খেইয়ে দেইয়ে কাজ নেই যে জোয়ান মদ্দ ছেলে হারায়ে গেলি খুঁজতি যাবেনে! মেয়েমানুষ হলি খানিক কতা ছেল। তাও তো নয়।

आगे की कहानी पढ़ने के लिए सब्सक्राइब करें

ডিজিটাল

(1 साल)
USD10
 
সাবস্ক্রাইব করুন

ডিজিটাল + 12 প্রিন্ট ম্যাগাজিন

(1 साल)
USD79
 
সাবস্ক্রাইব করুন
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...