তখন প্রায় বারোটা। অতিথি-অভ্যাগত, আত্মীয়পরিজন, বন্ধুবান্ধব সকলেই জয় আর নিশার রিসেপশন পার্টি অ্যাটেন্ড করার পর, যে -যার বাড়ির পথে। বাড়িতে শুধুমাত্র বাইরের বলতে জয়ের ছোটোমাসি। সেই অর্থে বাড়িতে কেউ না থাকায় তিনিই নতুন বউকে ফুলসজ্জার ঘরে পৌঁছে দিয়েছিলেন।

ফুলসজ্জার এই বিশেষ দিনটি নিয়ে সকলেই স্বপ্ন সাজিয়ে রাখে। জয়ও তার বাইরে নয়। এই মধুযামিনী নিয়ে তারও অনেক স্বপ্ন ছিল। তাই আমন্ত্রিতরা যাওয়া মাত্রই বাড়ির সকলের থেকে নজর বাঁচিয়ে নিজের ঘরের দিকে পা বাড়িয়েছিল জয়।

তবে হ্যাঁ অ্যারেঞ্জড ম্যারেজে একটা প্রবলেম আছে বটে, পূর্ব-পরিচিত না হওয়ায় বিয়ের প্রথম রাতে একটা অচেনা মানুষকে ফেস করা বেশ অস্বস্তিকর৷ যদিও নিশা এখন তার অগ্নিসাক্ষী করা স্ত্রী, তবুও কেমন যেন একটা অপ্রতিভতা কাজ করে। কীভাবে শুরু করবে? কী বলবে? এইরকমই কিছু ভাবতে ভাবতে ঘরে ঢুকতেই, নিশাকে অবিন্যস্ত অবস্থায় দেখে একেবারে হতভম্বের মতো দাঁড়িয়ে পড়ে জয়। বিয়ের শাড়ি, গয়না সমস্তকিছু সারা বিছানায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে, আর নিশা কোনওমতে একটা শাড়ি জড়িয়ে ঘরের কোণে একটা চেয়ারে হাত-পা গুটিয়ে বসে দরজার দিকেই দৃষ্টিনিক্ষেপ করে রয়েছে।

জয় ঘরে ঢোকা মাত্রই তার দিকে ক্রূর দৃষ্টি নিয়ে বলে ওঠে নিশা, ‘এবার কি আমার পালা? আমাকেও মেরে ফেলবে তুমি?’

একে তো ফুলসজ্জার রঙিন স্বপ্নভঙ্গ, তার ওপর নিশার এরকম আশ্চর্য কথাবার্তায় জয় চমকে ওঠে।

‘কী যা-তা বলছ ! কী হয়েছে তোমার? এরকম আচরণ কেন করছ?’ যতটা সম্ভব সপ্রতিভ হয়ে ওঠার চেষ্টা করে জয়। ‘দ্যাখো আজ আমাদের ফুলসজ্জা। একে-অপরকে ভালো করে জেনে নেওয়ার দিন। প্লিজ, এই দিনটাকে নষ্ট কোরো না। যে-কোনও নববিবাহিতই এই দিনটার জন্য অপেক্ষা করে থাকে।’ পরিস্থিতি সামলানোর জন্য নিশাকে নানারকম ভাবে বোঝানোর ব্যর্থ চেষ্টা করতে থাকে জয়।

‘এসব ছাড়ো! আগে আমার প্রশ্নের উত্তর দাও। নিমন্ত্রিতদের মধ্যে চার-পাঁচজন মহিলা নিজেদের মধ্যে বলাবলি করছিল, আমি সব শুনেছি।’

आगे की कहानी पढ़ने के लिए सब्सक्राइब करें

ডিজিটাল

(1 साल)
USD10
 
সাবস্ক্রাইব করুন

ডিজিটাল + 12 প্রিন্ট ম্যাগাজিন

(1 साल)
USD79
 
সাবস্ক্রাইব করুন
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...