এই নিয়ে চতুর্থবার সন্ধে আলোর মুখোমুখি রেস্তোরাঁয় শিমুল ও শিরিন। খুব একটা ভিড় থাকে না। নিরিবিলিতে কথা বলা যায়। ওয়েটার আগেই জল দিয়ে গেছিল। এবার কোল্ড কফি সার্ভ করে গেল। শিরিন অফিস-ফেরতা আর শিমুল আপাতত এখানে ঘণ্টাখানেক কাটিয়ে সাড়ে সাতটা নাগাদ যাবে নিজের চেম্বারে। তারপর গোটা দশেক রোগী দেখে খুব বেশি হলে ন’টা সাড়ে ন’টা নাগাদ ফ্ল্যাটে ফিরে শিরিনের কথা ভাববে!
আর মাসখানেক বাকি তবুও যেন তর সইছে না। দোষ কী, বিয়ে পাগলা হলে যা হয়! সবে মাস চারেক সে বিবাহ বিচ্ছিন্ন। আর শিরিন বছরখানেক আগের বিয়ে থেকে বিচ্ছিন্না। তফাত বলতে এইটুকুই যা!
শিরিন কফিতে একটা হালকা সিপ দিয়ে বলল, দ্যাখো মাসখানেকের যোগাযোগ এমন তো আর খুব বেশি না অথচ মনে হচ্ছে তুমি যেন আমার কতদিনের! কী গো হার্ট স্পেশালিস্ট, তাই না? গতকালই আমার খুব মনে হচ্ছিল আর ঠিক আজ সকালেই তুমি দেখা করতে চাইলে। আমার কী সুবিধাটাই না হল তুমি হৃদয় বিশারদ হওয়াতে। আমি যে চাইছিলাম সেটা ঠিক বুঝে ফেলেছ কি বলো! শিমুল গদগদ কৃতার্থের একটা হাসি ছড়াল। বলল, আমিও না খুব ছটপট করছিলাম কাল সারারাত্তির।
—কেন গো কী জন্য? অপর্ণার জন্য মন খারাপ করছিল বুঝি?
—আরে, বাদ দাও তো ওর কথা। ও এখন অতীত।
—তবে কার কথা ভাবছিলে?
—কার আবার, তোমার।
—ও তাই। তা আমার কীসের?
এবার শিমুল ক্লিন বোল্ড। কথা আটকে গেছে।
—আরে বলো বলো... এতে লজ্জার কী আছে। শুনলে হয়তো আমারও ভালো লাগবে।
—যাঃ, তোমাকে শুনতে হবে না।
—আচ্ছা ঠিক আছে তুমি যখন বলবে না-ই ভেবেছ তখন আমিই বলে দিই।
—আরে আরে করছটা কী? কিচ্ছু বলার দরকার নেই।
—কেন?
—বলার নয় বলে। কারণ...
—কারণটা শুনি
—ওসব হাতে কলমে করার
শিরিন কপট রাগ দেখিয়ে বলে, ওরে মিচকে পাজি শয়তান কোথাকার। আমার সাথে ফাজলামি! ঠিক আছে আমিও দেখে নেব কার কত দম।