চিড়চিড়ে গরম। কোনওরকমে বাজারের থলে সামলে হাঁটছেন মধুশ্রী। সঙ্গে ছাতা নেই, ভুলে গেছেন আনতে। হাত দিয়ে ঘাম মুছতে হচ্ছে বারবার। বাজারের থলেটা খুব ভারী ছিল না কিন্তু জুন মাসের অসহ্য গরমে রোদের মধ্যে ছাতা ছাড়া হাঁটতে খুব কষ্ট হচ্ছিল মধুশ্রীর। অটোরিক্সা স্ট্যান্ড খুব দূরে ছিল না, তাই অটো ধরার আশায় কিছুটা হেঁটে এগিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু হঠাৎই মাথা ঘুরতে শুরু করল। নিজেকে সামলে নেওয়ার আগেই ধাক্কা খেলেন বিদ্যুতের স্তম্ভে। আচমকা ধাক্কার জেরে রাস্তায় পড়ে গেলেন মধুশ্রী। তাঁর হাতের বাজারের থলি ছিটকে গিয়ে পড়ল অন্যদিকে।

ভিড় জমে গেল মুহূর্তেই।

বুঝলাম না কীভাবে পড়ে গেল! হয়তো মাথা ঘুরে গেছে।

চল, হাসপাতালে নিয়ে যাই। মনে হচ্ছে সেন্সলেস।

ভিড়ের ভেতর থেকে এমনই কিছু কথা ভেসে এল। কিন্তু কেউ দাযিত্ব নিয়ে মধুশ্রীকে তার বাড়ি কিংবা হাসপাতালে নিয়ে গেল না।

ভিড় দেখে সাদা রঙের চলমান এক গাড়ি রাস্তার ধারে দাঁড় করালেন গাড়ির যাত্রী। গাড়ি থেকে নেমে এলেন লম্বা চওড়া এক ব্যক্তি। ভিড় ঠেলে এগিয়ে দেখলেন মধুশ্রীর সংজ্ঞাহীন অসহায় অবস্থা। কী হয়েছে জেনে নিলেন ভিড়ের জনতার থেকে এবং আর দেরি না করে, তাঁর গাড়ির চালকের সাহয্যে গাড়িতে তুললেন মধুশ্রীকে।

এখানে কাছাকাছি কোনও হাসপাতাল আছে ভাই? একজনকে জিজ্ঞেস করলেন সেই ব্যক্তি।

হ্যাঁ স্যার, সামনের মোড় থেকে ডানদিকে একটু এগোলেই একটা নার্সিংহোম আছে।

গাড়ি দ্রুত এগিয়ে গেল নার্সিংহোম-এর উদ্দেশে।

হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে আছেন মধুশ্রী। স্যালাইন চলছে। কিছুক্ষণ পর হুঁশ ফিরল তাঁর। নার্স তাঁকে জানাল সবকিছু। শরীর কিছুটা কমজোর মনে হলেও মধুশ্রীর ইচ্ছে হল উঠে গিয়ে সেই মহানুভবকে ধন্যবাদ জানাতে, যিনি তাঁর চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন। কিন্তু মধুশ্রীকে যেতে না দিয়ে নার্স নিজেই ডেকে আনলেন ওই ব্যক্তিকে।

কেমন আছেন এখন? ডক্টর জানিয়েছেন, ভয়ের কিছু নেই। একটু পরেই ডিসচার্জ করা হবে আপনাকে। ঘরে ঢুকে মধুশ্রীকে আশ্বস্ত করলেন ওই ব্যক্তি।

आगे की कहानी पढ़ने के लिए सब्सक्राइब करें

ডিজিটাল

(1 साल)
USD10
 
সাবস্ক্রাইব করুন

ডিজিটাল + 12 প্রিন্ট ম্যাগাজিন

(1 साल)
USD79
 
সাবস্ক্রাইব করুন
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...