অনুভা কাগজ পড়তে পড়তে রিমার মুখের দিকে তাকালেন। একমাত্র মেয়ে। অরূপ এবং অনুভা বহু আদরে নিজেদের একমাত্র সন্তানকে বড়ো করে তুলেছেন। কোথাও কিছু ফাঁক রাখেননি। শহরের নামি স্কুলে পড়াশোনা শেষ করে এখন কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী সে। রিমার এখন বয়স মাত্র উনিশ বছর। অথচ অনুভা আশ্চর্য হয়ে যান রিমার সাহস এবং কথা বলার ভঙ্গি দেখে। বলেই ফেলেন, ‘এটা তুই কী বলছিস রিমা?’

‘হ্যাঁ মা, আমি অনেক ভেবেচিন্তেই ডিসিশন নিয়েছি। কলেজের ওই একঘেয়েমি ক্লাস আর পড়াশোনা আর ভালো লাগছে না। ঠিক করেছি অভিনেত্রী হব।’

অনুভার ভ্যাবাচ্যাকা খাওয়া এক্সপ্রেশন রিমার চোখ এড়ায় না, ‘এতে এত আশ্চর্য হওয়ার কী আছে? অনেকদিন ধরেই খোঁজখবর নিচ্ছিলাম শুধু তোমাদের আগে জানাইনি। অনন্যাকে চেনো তো? আমার সঙ্গে কলেজে পড়ে। নামটা লেখানো মাত্র, ক্লাস করে না। টিভির পর্দায় এখন ও বেশ পরিচিত মুখ। ওই আমাকে মুম্বইয়ের এক এজেন্টের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে। ফোনে কয়েকবার ওই এজেন্টের সঙ্গে কথা হয়েছে। আমাকে মুম্বই গিয়ে থাকতে হবে, তবেই অডিশনের সুযোগ ও করিয়ে দেবে। তার আগে অবশ্য খানিকটা গ্রুমিংয়েরও দরকার আছে।’

অনুভা অবাক চোখে তাকিয়ে থাকেন মেয়ের মুখের দিকে। এই সেদিনের সেই ছোট্ট রিমা নিজের মধ্যে এত তেজ আনল কীভাবে, সেটা অনুভা ভেবে পেলেন না। তবুও মেয়েকে বোঝাবার চেষ্টা করতে ছাড়লেন না, ‘এতদূর একা গিয়ে থাকবি কিন্তু ওখানে কাউকেও তো তুই চিনিস না। আর ওই এজেন্টকেও তো সামনাসামনি কখনও দেখিসনি। ওর উপর আমরা ভরসা করব কী করে? এছাড়া তোর বাবাকেও তো সব খুলে বলতে হবে। উনি মত দেবেন বলে মনে হয় না।’

‘আমি মুম্বই যাব ঠিক করে নিয়েছি’, রিমার কণ্ঠস্বর কঠোর শোনায়, ‘তোমরা আমাকে ভরসা করবে কিনা সেটা সম্পূর্ণ তোমাদের ব্যাপার। যেমন করেই হোক অভিনয়ের জগতে আমাকে খ্যাতি পেতেই হবে, তবেই তো আমি টাকা রোজগার করতে পারব। টাকা এবং খ্যাতি, এই দুটোই আমার স্বপ্ন।’

आगे की कहानी पढ़ने के लिए सब्सक्राइब करें

ডিজিটাল

(1 साल)
USD10
 
সাবস্ক্রাইব করুন

ডিজিটাল + 12 প্রিন্ট ম্যাগাজিন

(1 साल)
USD79
 
সাবস্ক্রাইব করুন
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...