অসমের শান্ত সুন্দর প্রকৃতি যেমন খেয়ালি, মরমিও তেমনি খেয়ালি চরিত্রের হয়েছে। কখন কী মুডে থাকে বোঝা মুশকিল। এই হাসিখুশি উচ্ছল, তো পরমুহূর্তেই থমথমে বিষাদ কালো মুখ। ওর সঙ্গে বেশ বুঝেশুনে কথা বলতে হয়। কখন কী ভেবে বসে কে জানে। একবার বর্ষার সময়ে বেশ কিছুদিন অসমে দিদির বাড়িতে থেকেছিলাম। তখন দেখেছি প্রকৃতির খামখেয়ালিপনা কাকে বলে।

ঘুম থেকে উঠে হয়তো দেখলাম ঝকঝকে সুন্দর একটা দিন, চারদিকে সোনা রোদ্দুর ছড়িয়ে আছে। দেখেই আমি এদিক ওদিক ঘুরে বেড়ানোর ছক করে ফেলেছি। কিন্তু পরক্ষণেই আমার সমস্ত প্ল্যানের ওপর জল ঢেলে আকাশে দেখা দিল মেঘের ঘনঘটা! এমনটা প্রায়ই হতো। আবার বৃষ্টি দেখে দিদি হয়তো খিচুড়ির আয়োজন করেছে, একটু পরেই দেখা গেল মেঘ-বৃষ্টি দূরে ঠেলে সূর্যিদেব প্রবল তেজে বিরাজমান হয়েছেন মধ্য গগনে। তখন গনগনে গরমে খিচুড়ি হয়ে উঠত অসহ্য। যতদিন ওখানে ছিলাম মেঘ-রোদ্দুরের খেলা দেখেই কেটেছে। এখন মরমিকে দেখে আমার সেই স্মৃতি মনে এসে যায়। অসমে জন্ম ও বেড়ে ওঠা বলেই হয়তো প্রকৃতির এই খেয়ালিপনাটুকু ওর চরিত্রে গেঁথে আছে।

মরমি আমার বড়দির একমাত্র সন্তান। বড়দির শ্বশুরালয় অসমের গৌরীপুরে। বিয়ে ইস্তক দিদি সেখানেই আছে। মরমিও ওখানেই জন্মেছে। এতদিন পড়াশোনা, বড়ো হয়ে ওঠাও সেখানেই। এখন কলকাতায় এসে যাদবপুর ইউনিভার্সিটিতে কম্প্যারেটিভ লিটারেচার নিয়ে পড়ছে। যাদবপুরেই হোস্টেলে থাকে ও। আমি ওর মামা তো বটেই, ইউনিভার্সিটির নথিতে লোকাল গার্জেনও। ও হোস্টেলে থাকলেও মামা হিসেবে যতটা সম্ভব খোঁজখবর রাখার চেষ্টা করি।

ছুটি-ছাটায় বাড়িতে নিয়ে আসি ওকে। আর প্রতি রবিবার বা শনিবারে নিয়ম করে আমি ওর হোস্টেলে দেখা করতে যাই। কতদিন ওকে বলেছি, ছুটির দিনগুলোতে সবসময় আমার বাড়িতে চলে আসতে। সারা সপ্তাহ তো হোস্টেলের ওই আধসেদ্ধ খাবার খেতে হয়, সপ্তাহান্তে একদিন না হয় বাড়িতে এসে একটু ভালোমন্দ খাওয়াদাওয়া করল।

आगे की कहानी पढ़ने के लिए सब्सक्राइब करें

ডিজিটাল

(1 साल)
USD10
 
সাবস্ক্রাইব করুন

ডিজিটাল + 12 প্রিন্ট ম্যাগাজিন

(1 साल)
USD79
 
সাবস্ক্রাইব করুন
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...