বর্ধমানে পৌঁছে রমেনের বাড়ি খুঁজে পেতে সীমার বিশেষ অসুবিধা হল না। গাড়ি থেকে নেমে বাড়ির দরজার দিকে পা বাড়াল ও। বাইরে থেকে ওকে ধীরস্থির, শান্ত মনে হলেও ভিতরে ভিতরে ওর মন অধীর হয়ে উঠছিল।

দরজা খুলে যে-মহিলা এগিয়ে এলেন, তাকে কোনওমতে একটা নমস্কার জানিয়ে সীমা জিজ্ঞেস করল, ‘রমেন কি বাড়িতে আছে?’

‘আপনি সীমা না?’ ভদ্রমহিলার মুখ-চোখ দেখে মনে হচ্ছিল সীমা যেন ওনার বহু দিনের পরিচিত।

‘হ্যাঁ, কিন্তু আপনি আমাকে চিনলেন কী করে?’

‘একবার উনি, মানে রমেন অফিসের কোনও ফাংশনের ছবি আমাকে দেখিয়েছিলেন, তাই মনে থেকে গেছে। চলুন ভিতরে চলুন।’ সীমার হাত ধরে মহিলা ওকে বাড়ির ভিতরে নিয়ে গেল।

‘আমি কে, আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন। আমি রমেনের স্ত্রী...।’

‘বন্দনা, তাই না?’ সীমা ওর কথার মাঝেই বলে উঠল, ‘আমিও আপনাকে চিনি। রমেনের ফ্ল্যাটে যে-ফ্যামিলি ফোটোগ্রাফটা লাগানো আছে, সেটাতে আপনাকে দেখেছি। ছবিটা এতবার দেখেছি যে মনের মধ্যে গেঁথে গেছে।’

সীমার কথায় কোনও প্রতিক্রিয়া না দেখিয়ে বন্দনা খুব সহজ ভাবে জিজ্ঞেস করল, ‘ওনার অসুস্থতার সম্পর্কে কী করে জানতে পারলেন?’

‘রমেন অফিসে আমার সিনিয়র। ওনার সঙ্গে ফোনে রোজ আমাকে কন্ট্যাক্ট রাখতে হয়। এখন ওনার শরীর কেমন আছে?’ সীমার উত্তরে কোনওরকম আড়ষ্টতা ছিল না।

‘আপনার এই প্রশ্নের উত্তর উনি নিজেই দেবেন। আমি ওনাকে ডেকে দিচ্ছি। আপনাকে কী দেব, চা না কফি? ঠান্ডাও খেতে পারেন।’

‘না-না। কফি হলেই চলবে।’

‘আপনি আমার সম্মানীয় অতিথি। ওনার অফিসের কারও সঙ্গে আমার কোনওদিন পরিচয় হওয়ার সুযোগ হয়নি, আপনিই প্রথম। সুতরাং অতিথি আপ্যায়নে আমি কোনও ত্রুটি রাখতে চাই না। আপনি বসুন, আমি ওনাকে পাঠিয়ে দিচ্ছি’, বলে বন্দনা হাসিমুখে ভিতরে চলে গেল।

সীমা এবার নিজের চারপাশে চোখ বুলোবার সুযোগ পেল। পরিপাটি ভাবে সজ্জিত ড্রয়িংরুম। চারপাশ গোছানো পরিষ্কার ঝকঝক করছে। ঘরের ডেকরেশনে গৃহিণীর সুরুচির ছাপ সর্বত্র।

বন্দনার ব্যক্তিত্বেরও তারিফ না করে পারল না সীমা। গায়ের রং শ্যামলা হলেও, যথেষ্ট সুন্দরী বলা চলে। দুই সন্তানের মা হয়ে যাওয়াতে চেহারাটা সামান্য ভারী হয়ে গেলেও, আকর্ষণ বিন্দুমাত্র কমেনি।

आगे की कहानी पढ़ने के लिए सब्सक्राइब करें

ডিজিটাল

(1 साल)
USD10
 
সাবস্ক্রাইব করুন

ডিজিটাল + 12 প্রিন্ট ম্যাগাজিন

(1 साल)
USD79
 
সাবস্ক্রাইব করুন
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...