মঞ্জরির আজকাল কিছুতেই বাড়ি ফিরতে ইচ্ছে করে না, অথচ আগে ও বাড়ি ফেরার জন্য ছটফট করত। সেই কবে মাত্র ঊনিশ বছর বয়সে শিশিরের সঙ্গে ওর বিয়ে হয়েছে সেই থেকে সংসারটা যেন ওকে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে রেখেছে। সংসার ছাড়া অন্য কিছুতে মন দেওয়ার কোনও আগ্রহই বোধ করেনি কোনওদিন।

ছেলে-মেয়ে এখন বড়ো হয়েছে। শিশিরও ব্যাবসার কাজে বেশিরভাগ সময়ই শহরের বাইরে থাকে। ছেলে অতনু এমএস করতে আমেরিকা গিয়েছিল এখন ওখানেই ও ওয়েল সেটেলড। মঞ্জরি ভালো মতোই জানে ও কোনওদিন দেশে ফিরবে না। এষা আর মঞ্জরির সম্পর্কটা ঠিক মা-মেয়ের মতো নয়। দুটিকে দেখে মনে হয় অসমবয়সি বান্ধবী। সর্বদা একসঙ্গে, দেখে মনে হয় না ওদের জীবনে অন্য কারও প্রয়োজন আছে।

অথচ এই বন্ধুত্বের মায়াও মঞ্জরিকে ত্যাগ করতে হল। আগের সপ্তাহেই এষাকে এয়ারপোর্টে তুলে দিতে এসে মঞ্জরি চোখের জল কিছুতেই আটকাতে পারল না। মনে হচ্ছিল শরীরের একটা অংশ যেন কেটে নেওয়া হচ্ছে। অথচ মিলানে ফ্যাশন ডিজাইনিং নিয়ে পড়াশোনা করার জন্য স্কলারশিপ পাওয়ার কথাটা যখন এষা জানিয়েছিল তখন সবথেকে বেশি খুশি বোধহয় মঞ্জরি-ই হয়েছিল।

শিশির অবশ্য ওকে বলেছিল মহিলাদের কোনও সংস্থার হয়ে সোশ্যাল ওয়ার্ক করার জন্য কিন্তু মঞ্জরি রাজি হয়নি। ওর মনে হয় সোশ্যাল ওয়ার্কের নামে সমাজসেবা করাটা সংস্থার উদ্দেশ্য নয় বরং অর্থবান স্বামীদের অর্ধাঙ্গিনিরা নিজেদের টাইম পাস করার জন্য এই সব সংস্থায় জয়েন করে। অন্যদের মতো কার চারিত্রিক দুর্বলতা কোনটা, কে কোন গয়না কিনল বা কত টাকা গয়না কিনতে খরচ করল অথবা বাড়ি ডেকে নিয়ে গিয়ে দামি আসবাবপত্র বা নতুন ক্রকারি দেখাবার মতো মানসিকতা মঞ্জরির ছিল না। আগেও ও দুবার সংস্থার হয়ে কাজ করেছে কিন্তু পুরোটাই ছিল দুঃস্থ পরিবারের বাচ্চাদের নিয়ে কাজ। বাচ্চাদের নিয়ে সারাদিন কাটাতে ওর খুব ভালো লাগত। ও যেন নিজের শৈশবে ফিরে যেতে পারত, ভুলে যেত পঞ্চাশের কোঠা ও পার করে ফেলেছে। কিন্তু সংসারের প্রয়োজনে সংস্থা যখন ওকে ছাড়তে হয়েছিল তখনকার স্মৃতি ওর কাছে মোটেই মধুর ছিল না। সংস্থার অন্যান্য সদস্যরা ওর এই হঠাৎ ছেড়ে দেওয়াটা ভালো চোখে দেখেননি এবং এই বিষয়ে কিছু কটূক্তি শুনতেও মঞ্জরি বাধ্য হয়েছিল।

आगे की कहानी पढ़ने के लिए सब्सक्राइब करें

ডিজিটাল

(1 साल)
USD10
 
সাবস্ক্রাইব করুন

ডিজিটাল + 12 প্রিন্ট ম্যাগাজিন

(1 साल)
USD79
 
সাবস্ক্রাইব করুন
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...