কেরল এমন এক পর্যটন কেন্দ্র, যেখানে প্রতিবছর প্রায় ৭২ লক্ষ পর্যটকের আগমন ঘটে। এর ফলে টুরিজম-এর ক্ষেত্র থেকে প্রতিবছর প্রায় ১১ কোটি টাকা আয় করে সরকার।
উত্তর বেকল থেকে শুরু হয় কেরল ভ্রমণ। কর্ণাটকের কাছে কাসারগড রাজ্যের পশ্চিমে আরব সাগরের তীরে বেকলের অবস্থান। ৫০০ বছরের পুরোনো এই বেকল কিলা (দুর্গ) কেরল ভ্রমণের মুখ্য আকর্ষণ। এই কেল্লা বা ফোর্ট-এর একদিকে সমুদ্রের জল এসে আছড়ে পড়ে। এর স্থাপত্য শৈলী চোখে পড়ার মতো।
সাইলেন্ট ভ্যালি
প্রকৃতি প্রেমিকদের জন্য সাইলেন্ট ভ্যালি এক অনন্য উপহার। সবুজ গাছপালা দিয়ে ঘেরা এই উপত্যকা। এই অঞ্চলটি খুব নিরিবিলি, তাই এটি সাইলেন্ট ভ্যালি বা নিঃশব্দ তরাই নামে পরিচিত। এর অবস্থান পালকাড়ু জেলায়। জঙ্গলের দুর্লভ গাছ এবং বন্যপ্রাণী দর্শনের জন্য সাইলেন্ট ভ্যালি উপযুক্ত জায়গা, তবে এখানে ভ্রমণের আগে ফরেস্ট ডিপার্টমেন্ট-এর অনুমতি নিতে হয়।
আতিরাপাল্লি
মধ্য কেরলের আরও এক সুন্দর জায়গা আতিরাপাল্লি। এই অঞ্চলের চালকুড়ি জলপ্রপাত খুবই জনপ্রিয়। চোখজুড়ানো এই জলপ্রপাত দর্শনের জন্য বিদেশ থেকেও পর্যটকরা এসে ভিড় জমান এখানে।
চেরাই বিচ
এর্নাকুলামের চেরাই বিচের সূর্যাস্ত দেখার স্মৃতি চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। পরিচ্ছন্ন এই বিশাল বিচ-এ বিশ্রামাগারও রয়েছে।
তেকড়ি মুন্নার
ইডুক্বি জেলার আকর্ষণের কেন্দ্রে রয়েছে তেকড়ি মুন্নার অর্থাৎ সেগুন গাছের জঙ্গল এই জায়গার মুখ্য আকর্ষণ। এখানকার ঝিলে ঘেরা বণ্যপ্রাণী সংরক্ষণ কেন্দ্রটিই পর্যটকদের দেশদেশান্তর থেকে আকর্ষণ করে আনে। এই ঝিলে নৌকাবিহারের সময় বুনো হাতি, বুনো ভেড়া, বাঘ প্রভৃতি বন্যপ্রাণী দেখার সুযোগ পাওয়া যায়। তবে সম্পূর্ণ জঙ্গল দর্শনের জন্য উঠতে হবে ওয়াচ টাওয়ারে। আর মুন্নারকে বলা হয় দক্ষিণ ভারতের কাশ্মীর। এখানকার সবুজ গাছগাছালিতে ভরা পাহাড় এবং ফুলের বাগিচা মিলে সে এক অপরূপ দৃশ্য। এমনই সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশে আরও শোভা বাড়িয়েছে ‘হরভিকুল্ম ন্যাশনাল পার্ক’। এই পার্ক-এর নীলকুরুজ্জি ফুলও আপনার চোখকে আরাম দেবে।
কোভলম
কেরলের দক্ষিণে তিরুবনন্তপুরমে কোভলম-এর অবস্থান। এখানকার প্রকৃতির শোভা বাড়িয়েছে আরব সাগর। এর তীরে বসে বিশুদ্ধ হাওয়ায় শরীর ও মন দুই-ই ভালো থাকবে। সাগর তীরবর্তী হোটেলে থেকেও আনন্দ উপভোগের সুযোগ রয়েছে।