চলো যাই ঘুরি আসি প্রাণ ভরে,
বনেতে, পাহাড়ে, মরুপ্রান্তরে...
বেড়াবার জন্য মন কেমন করে না, এমন মানুষ খুঁজে বার করা কষ্টসাধ্য। তার উপর বহুদিন গৃহবন্দি অবস্থায় যদি কাটাতে হয় তবে খোলা আকাশের নীচে মুক্তির আনন্দে নিজেকে নিমজ্জিত করার আনন্দ থেকে কে আর বঞ্চিত থাকতে চাইবে। তাহলে বেরিয়ে পড়া যাক নিজের দেশেরই আনাচে-কানাচে।
শীতলাখেত: Travelogue
বিয়ের চারমাস অতিক্রান্ত হয়ে গেছে তবুও কোথাও যাওয়া হয়নি অপর্ণার। অথচ ওদের দুজনেরই পছন্দ পাহাড়। তাই অবস্থা কিছুটা শুধরোতেই নীলাদ্রি শীতলাখেত-এ কয়েকটা দিন কাটাবার সব ব্যবস্থা পাকা করে ফেলল। বিয়ের চারমাস হয়ে গেলেও মধুচন্দ্রিমা বলতে এটাই, তাই শীতলাখেতের মতো এত নিরিবিলি জায়গা কোথায় পাবে?
উত্তরাখণ্ড রাজ্যের আলমোড়া জেলায় অবস্থিত শীতলাখেত অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি হিল স্টেশন। সমুদ্রতল থেকে এর উচ্চতা আনুমানিক ১৯০০ মিটার। আলমোড়া থেকে ৩৯ কিলোমিটার এবং রানিখেত থেকে এর দূরত্ব ২৪ কিলোমিটার। নিরিবিলিতে দুটো দিন পাহাড়ের সৌন্দর্য অবলোকন করতে এবং প্রকৃতির কোলে কাটাবার সুযোগ হাতছাড়া না করার উদ্দেশ্য নিয়ে পর্যটকরা এখানে এসে সময় কাটিয়ে যান।
কুমাযুন হিমালয়ের কোলে অবস্থিত এই ছোট্ট হিল স্টেশনটি থেকে চোখে পড়ে চৌখাম্বা, নন্দাদেবী, ত্রিশূল আর পঞ্চচুল্লির মতো শিখরগুলি। চারপাশে ফলের বাগান। আধুনিক ব্যস্ত জীবন থেকেও দূরে গিয়ে কিছুটা শুদ্ধ বাতাস বুকে ভরে নিতে পর্যটকরা ঢুঁ মেরে যান এখানে। শীতলাখেত থেকে ৪ কিলোমিটারের মধ্যে দেখে নেওয়া যেতে পারে সাইয়াহি দেবীর মন্দির, গোলু দেবতার মন্দির, মহাদেব মন্দির, কাটারমল সূর্য মন্দির।
চারপাশে রয়েছে পাইনের জঙ্গল। কেএমভিএন-এর গেস্ট হাউস ছাড়াও রয়েছে কয়েকটি প্রাইভেট হোটেলও। শীতলাখেতে আসার সবথেকে ভালো সময় হল ফেব্রুয়ারি থেকে জুন আবার সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর। যারা বরফ দেখতে চান তারা ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে ঘুরে আসতে পারেন। যারা হাতে একটু সময় নিয়ে যাবেন তারা ঘুরে নিতে পারেন ঝুলাদেবী মন্দির, চৌবাটিয়া টি গার্ডেন, গোভিন্দবল্লভ পন্থ মিউজিয়াম, গল্ফ কোর্স ইত্যাদি।