চলো যাই ঘুরি আসি প্রাণ ভরে,
বনেতে, পাহাড়ে, মরুপ্রান্তরে...
কানহা জাতীয় উদ্যান: Travelogue
বেড়াবার জন্য মন কেমন করে না, এমন মানুষ খুঁজে বার করা কষ্টসাধ্য। তার উপর বহুদিন গৃহবন্দি অবস্থায় যদি কাটাতে হয় তবে খোলা আকাশের নীচে মুক্তির আনন্দে নিজেকে নিমজ্জিত করার আনন্দ থেকে কে আর বঞ্চিত থাকতে চাইবে। তাহলে বেরিয়ে পড়া যাক নিজের দেশেরই আনাচে-কানাচে।
ভারতবর্ষের জাতীয় উদ্যানগুলির মধ্যে অত্যন্ত জনপ্রিয় হল মধ্যপ্রদেশের কানহা ন্যাশনাল পার্ক এবং বিস্তৃতিতেও এটি ভারতের বৃহত্তম। সাতপুরা পর্বতশ্রেণির কোলে অবস্থিত কানহার জনপ্রিয়তা এর ব্যাঘ্র সংরক্ষণ প্রকল্পের জন্য। ১৮৭৯ সালে কানহা জাতীয় উদ্যানকে সংরক্ষিত জঙ্গল হিসেবে চিহ্নিত করা হয় এবং ১৯৫৫ সালে এটিকে জাতীয় উদ্যান হিসেবে আপগ্রেড করা হয়।
কানহা কিসলি জাতীয় উদ্যানের বিস্তৃতি ৯৪০ স্কোয়ার কিলোমিটার জায়গা জুড়ে। বিস্তৃত ঘাসজমি থাকার ফলে বাঘেদের এটি খুবই প্রিয় বিচরণ ক্ষেত্র। কানহার পুরো জঙ্গল জুড়েই যদিও বাঘ চাক্ষুস করা যায় তবুও পুরো জঙ্গলটাকে ৪টি অংশে (জোনস) ভাগ করা হয়েছে, তাদের নিজস্ব কিছু বিশেষত্বের কারণে। জঙ্গল সাফারি যারা পছন্দ করেন, তাদের জন্য এই তথ্যটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
মুক্কি সাফারি জোন, কিলসি সাফারি জোন, সারহাই সাফারি জোন এবং কানহা সাফারি জোন। মুক্কি সাফারি জোনে সবথেকে বেশি সংখ্যক বাঘের দেখা মেলে এবং কানহা জোনে পাবেন জিপ এবং হাতির পিঠে চেপে জঙ্গল সাফারির সুযোগ। মুক্কি সাফারি জোনের মুখে ঢোকার টিকিট অগ্রিম বুক করা না থাকলে পাওয়া মুশকিল হয় কারণ পর্যটকদের কাছে এটি অত্যন্ত জনপ্রিয়। বাঘ ছাড়াও নানারকম পাখির দেখা মেলে এখানে। এছাড়াও চিতাবাঘ, স্লথ বিয়ার, সোয়াম্প ডিয়ার বা বড়োসিংহা, ঢোল ছাড়াও নানা ধরনের গাছগাছালি ও উদ্ভিদেরও দেখা মেলে। অক্টোবর থেকে জুন মাসের মধ্যে যে-কোনও সময় যাওয়া যায় তবে বর্ষায় জঙ্গল বন্ধ থাকে।